বনানীতে সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
পারভেজ সরকার স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
বনানীতে সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধ

রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ অফিসের সামনে সিএনজি চালকরা বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সড়ক অবরোধ করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়, যা ট্রাফিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। গুলশান ট্রাফিক বিভাগের ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।  


পোস্টে জানানো হয়, সিএনজি চালকরা তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য বনানীর বিআরটিএ অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এর ফলে উত্তরা থেকে কাকলী এবং মহাখালীগামী যানবাহনের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা, বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা।  


অবরোধে অংশ নেওয়া সিএনজি চালকরা অভিযোগ করেন, তাদের সঠিক পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা হয় না। পাশাপাশি বিআরটিএ থেকে গাড়ির লাইসেন্স ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের নবায়নে অতিরিক্ত হয়রানির শিকার হতে হয়। তারা এসব সমস্যার সমাধান এবং ন্যায্য সুবিধার দাবিতে এই আন্দোলনে নেমেছেন।  


বিক্ষোভকারীদের দাবি, সিএনজির জন্য নির্ধারিত ভাড়া কাঠামো পরিবর্তন করা, লাইসেন্স নবায়নে দুর্নীতি বন্ধ করা এবং যাত্রীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা। তারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সংস্থার চাঁদাবাজি এবং অযথা জরিমানা তাদের পেশা পরিচালনায় বড় বাধা সৃষ্টি করছে।  


এই অবস্থান কর্মসূচি ঢাকা শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে। বনানী এলাকার যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে অন্যান্য সড়কেও যানজট বেড়েছে, যার ফলে পুরো শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।  


গুলশান ট্রাফিক বিভাগ থেকে জনগণকে বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি সহযোগিতা চেয়েছে। যদিও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চলছে, তবে এখনো পর্যন্ত সমাধান আসেনি।  


সিএনজি চালকদের এই আন্দোলনকে অনেকে যৌক্তিক মনে করছেন। তবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তারা মনে করছেন, জনগণের চলাচল ব্যাহত না করে অন্য উপায়ে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা উচিত।  


সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিএনজি চালকদের দাবিগুলো সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা কার্যকর সিদ্ধান্তের আগে তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ এবং প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।