যেভাবে চিনবেন কোরবানির জন্য সুস্থ পশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ৫ই আগস্ট ২০১৯ ০৩:২২ অপরাহ্ন
যেভাবে চিনবেন কোরবানির জন্য সুস্থ পশু

দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঐ দিন তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে  কোরবানিকে কেন্দ্র করে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী ব্যস্ত হয়ে পড়ে অসৎ উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে। যা গরুর পাশাপাশি মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

সুস্থ গরু কীভাবে খুব সহজেই চেনা যায় এ নিয়ে কথা বলেছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অসৎ উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয় তা আসলে পশুর লাইফ ড্রাক্স কিন্তু তা মাত্রাতিক্ত ব্যবহারের ফলে পশুর কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং পশুর শরীরে পানি জমে শরীর মোটা দেখায়। এইসব গরুর গোশত খেলে তা মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।

সুস্থ ও অসুস্থ গরু চেনার উপায়

১. সুস্থ গরু সাধারণত চটপটে হয়ে থাকে এবং দ্রুত সাড়া দেয় কিন্তু অসুস্থ গরু চুপচাপ থাকবে তেমন সাড়া দেবে না ঝিমাবে।

২. অসুস্থ গরুর শরীর অনেক বেশি ফোলা দেখাবে এবং নখ দ্বারা চাপ দিলে গর্ত হয়ে যাবে, যা পূর্বের জায়গায় ফিরে যেতে সময় নেবে।

৩. অসুস্থ গরু রাসায়নিক বা ওষুধের প্রতিক্রিয়ার ফলে দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস নেবে, মনে হবে যেন হাঁপাচ্ছে।

৪. অতিরিক্ত স্টেরয়েডের কারণে পশুর মুখ দিয়ে প্রতিনিয়ত লালা ঝরবে, খেতে চাইবে না কিন্তু সুস্থ পশুর সামনে খাবার ধরলে জিহ্বা দিয়ে টেনে নেবে নতুবা জাবর কাটবে।

৫. সুস্থ গরুর নাকের উপরের অংশ ভেজা বা বিন্দু বিন্দু পানি জমে থাকবে আর অসুস্থ পশুর নাক থাকবে শুকনো।

৬. সুস্থ গরু কান ও লেজ দিয়ে দ্রুত মশামাছি তাড়াবে কিন্তু অসুস্থ গরু তা করবে না।

৭. গরুর শরীরে হাত দিয়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হলে বুঝতে হবে গরুটি অসুস্থ।

৮. যেসব গরুর হাটে যাওয়ার পর চেহারা স্বাভাবিক উষ্কখুষ্ক চামড়া উপর দিয়ে কয়েকটি হাড় বেরিয়ে থাকে সেসব গরু বেশি নিরাপদ আর বেশি চকচকে গরু-ছাগলের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

পশু ক্রেতাদের প্রতি পরামর্শ: পশু বিশেষজ্ঞরা কোরবানির জন্য দেশি গরু নির্বাচনের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন কারণ চাইলেও দেশি গরু বেশি মোটাতাজা করা সম্ভব নয়। আর কোরবানির পর পশুর রক্ত, হাড় বা উৎছিষ্ট অংশ মাটির নিচে গর্ত করে রাখার পরামর্শ দেন নতুবা তা পরিবেশের প্রতি মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব