বরিশালে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, কিট সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম. কে. রানা - বার্তা প্রধান ইনিউজ৭১
প্রকাশিত: শুক্রবার ২রা আগস্ট ২০১৯ ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
বরিশালে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, কিট সংকট

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি‌দিনই বাড়ছে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শেবাচিমে হাসপাতালে ১১৪ জন ডেঙ্গু রোগী চি‌কিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ডেঙ্গু জ্বর সনাক্তকরণ কিট এনএসওয়ান পরীক্ষার উপাদান সংকট দেখা দি‌য়ে‌ছে জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে। অবশ্য দ্রুত এ কিট পাওয়া যা‌বে বলে জানিয়েছেন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।

সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ৭৯ জন। হাসপাতালের হি‌েসব অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৪৬ জন রোগী ভ‌র্তি হয়েছেন। চি‌কিৎসাধীন ১১৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৭১, নারী ২৮ ও শিশু ১৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ভ‌র্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে পুরুষ ২৮, নারী ১২ ও শিশু ছয়জন। ডেঙ্গু রোগীদের সুবিধার্থে হাসপাতালে এক‌টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়ে‌ছে বলে জা‌নিয়েছেন হাসপাতালের প‌রিচালক ডাঃ মোঃ বা‌কির হোসেন জানান, গত ১৬ জুলাই থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১৮৭ জন ডেঙ্গু রোগী শেবাচিমে ভ‌র্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ৭১জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। মারা গেছেন দুইজন। খোঁজনিয়ে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে একজন নারী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 

ডেঙ্গু রোগীকে ঢাকায় প্রেরন, আগৈলঝাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন জানান, জোবারপাড় গ্রামের সুজন মিস্ত্রীর নয় মাসের কন্যা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত স্বপ্না মিস্ত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। স্বপ্না মিস্ত্রীর পিতা সুজন মিস্ত্রীর জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুক্রবার সকালে চিকিৎসকেরা স্বপ্নাকে ঢাকা প্রেরন করেছে। 

কিট সংকট, দক্ষিণা লের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র শেবাচিম হাসপাতা‌লে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ডেঙ্গু জ্বর সনাক্তকরণ কিট এনএসওয়ান পরীক্ষার উপাদান সংকট দেখা দি‌য়ে‌ছে। তবে দ্রুত এ কিট পাওয়া যা‌বে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, এ‌ন্টিজেন্টের সংকট এখন সবখানে। বিষয়‌টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ‌কে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে। তবে কবে নাগাদ কিট পাওয়া যাবে তার কোন সঠিক তথ্য জানাতে না পারলেও তিনি দাবি করেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকা‌রে দেখা হ‌চ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারী হাসপাতালে কিট সংকটের কারণে সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত পাঁচশ’ টাকার পরিবর্তে নগরীসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার অধিকাংশ মালিকানাধীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত করতে এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে এমন আতংক শুরু হয়েছে যে কারও শরীর একটু গরম হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য তারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ভীড় করছেন।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব