হিজলায় আতঙ্কের নাম 'নদী ভাঙ্গন'

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২রা আগস্ট ২০১৯ ০৪:২৯ অপরাহ্ন
হিজলায় আতঙ্কের নাম 'নদী ভাঙ্গন'

বরিশালের হিজলা উপজেলায় মহা আতঙ্কের নাম নদী ভাঙ্গন। আর এই নদী ভাঙ্গনের কারণে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে  হিজলা উপজেলা পরিষদ। উপজেলা পরিষদ থেকে দক্ষিণ দিকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে রাক্ষসী মেঘনা। নদী বেষ্টিত এই উপজেলার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন। এটা দীর্ঘ বছরের সমস্যা, যা থেকে রক্ষা পায়নি এ এলাকার মানুষেরা। নদী  ভাঙ্গনের ভয়াবহতায় গ্রাস হচ্ছে হরিনাথপুর ইউনিয়নের টুমচর, মহিষখোলা। গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌলভীর হাট। বড়জালিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর, কাইশমা, পুরাতন হিজলা এবং বাউশিয়া এলাকা। এর মধ্যে বড়জালিয়ার বাউশিয়া এবং হরিনাথপুরের টুমচর এলাকার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। নদী ভাঙ্গনে একে একে বিলীন হচ্ছে রাস্তা ঘাট, ফসলি জমি, বাড়ি ঘর, মসজিদ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ভাঙ্গন রোধে হরিনাথপুরে বাজার রক্ষাবাঁধ দেয়া আছে আর পুরাতন হিজলায় ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। এ ভরা বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ক্ষিপ্রতায় মহা আতঙ্কে এলাকার সব শ্রেণী পেশার মানুষ। কয়েক মাস আগে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি, হিজলার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে এসে ছিলেন। তখন তিনি ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাসে বলে ছিলেন, এ কাজে তাকে একটু সময় দিতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায়, ৩১ জুলাই দুপুরে টুমচর এবং বাউশিয়া ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন, বরিশাল -৪ আসনের এমপি পংকজ নাথ। 

এ সময় তার সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন কালে, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের উদ্দেশ্য পংকজ নাথ বলেন, নদী ভাঙ্গন হিজলা মেহেন্দিগঞ্জের দীর্ঘ বছরের সমস্যা। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা কখনোই নদী ভাঙ্গন রোধে কোনো পদক্ষেপ রাখেনি। যদি আগেই তারা ভাবতো, তাহলে আজ উপজেলা হুমকির সম্মুখীন হতো না। তাছাড়া অবৈধ ভাবে এই এলাকার নদী থেকে বালি উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় থেকে হিজলাকে রক্ষার জন্য, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা অতিদ্রুত কার্যকর হবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন তিনি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব