বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ আসামিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাজির করা হলে বিচারক তাদের পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৪ আগস্ট ধার্য করেছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হলে বিচারক তাদের পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৪ আগস্ট ধার্য করে আসামিদের ফের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে যাদের হাজির করা হয়েছে- এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি মো. হাসান, জয় চন্দ্র সরকার (চন্দন), ওয়ালি উল্লাহ অলি (অলি), রেজোয়ান আলী খান (টিকটক হৃদয়), আল কাইয়ুম (রাব্বি আকন), মো. রাকিবুল হাসান রিফাত (রিফাত ফরাজী) ও রাশিদুল হাসান রিশান (রিশান ফরাজী)। এছাড়াও আরো জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার মো. তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. সাগর, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, কামরুল হাসান সাইমুন, মো. আরিয়ান হোসেন (আরিয়ান শ্রাবন) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
আয়শা ছিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী ও বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আজকে মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল। তাই সব আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের দরখাস্ত দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু মূল মামলার নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাই উপনথি সামিলে আছে। পরে মূল নথি এলে সেই দিন শুনানি হবে। মিন্নির বাবার সঙ্গে কথা বলে ইতোমধ্যে সইমোহর প্রার্থনা করা হয়েছে। সইমোহর হাতে পেলে মিন্নির বাবা হাইকোর্টে যাবেন।
বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু বলেন, আজকে রিফাত হত্যা মামলার শুনানির নির্ধারিত তারিখ ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে আজ ১৪ জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আসামি শিশু রাতুল সেভহোমে আছে তাই তাকে হাজির করা হয়নি। এ মামলায় আরিয়ান শ্রাবন ও কামরুল হাসান সাইমুনের পক্ষের আইনজীবী মোস্তফা কাদের বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্রাবন ও সাইমুনের করা জামিন আবেদন প্রত্যাহার ও সাইমুনের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি চাইলে আদালত আবেদন দুটি মঞ্জুর করেন। ২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। গুরুতর আহত রিফাতকে তাতখনিকবাভে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসক উন্ন চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে ঐদিন বিকালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ মামলার প্রধান আসামী নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এমামলার এই নিউজ লেখা পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ৭ আসামী এবং হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরো ৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত এই ১৫ জনেই রিফাত শরীফ হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারক্তিমূলক জবান বন্দি দিয়েছেন, আদালতে। এমামলার এজাহারভুক্ত চারজন আসামী এখনও পলাতক।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।