পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদীভাঙন ও বন্যা মোকাবেলায় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় কাজ করছি। সরকার নদীভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নড়িয়ায় গত বছর নদী ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। নড়িয়াকে অতিগুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া দেশের ৩৩টি জেলার ৬৬টি স্থানে ভাঙন ও বন্যা মোকাবেলায় কাজ করছে সরকার। এ সময় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, এবারের বর্ষায় আমাদের টার্গেট ছিল ২৮ লাখ জিওব্যাগ ডাম্পিং করা। মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৯ লাখ জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। শুধু নড়িয়াই নয় সারাদেশে ভাঙন রোধে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। কিন্তু নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আল মামুন শিকদার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রুপা রায়, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি হাচান আলী রাড়ী ও সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকনসহ প্রমুখ। এর আগে নড়িয়া ডানতীর বাঁধ প্রকল্প পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।