কাউখালী সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৈয়দ বশির আহম্মেদ, উপজেলা প্রতিনিধি কাউখালি (পিরোজপুর)
প্রকাশিত: বুধবার ২৪শে জুলাই ২০১৯ ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
কাউখালী সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

সদ্য জাতীয়করণকৃত পিরোজপুর কাউখালী সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৪ জন শিক্ষক মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন এর প্রতিবাদে কাউখালী সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ নজরুল ইসলাম ও কলেজের ৩২ জন শিক্ষক ও অফিস সহকারীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাউখালী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষক এমপিওভূক্তির জ্যোষ্ঠতা অনুযায়ী শেখ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তার উপরে যে দুই জন সিনিয়র ছিলেন একজন চিত্তরঞ্জন দাস তার চাকুরীর মেয়াদ ছিল ৫ মাস। এই জন্য গভার্ণিং বডি তাঁকে দায়িত্ব দেয় নি। আরেকজন আঃ আউয়াল গাজী দায়িত্ব নিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে গভার্ণিং বডির সিদ্ধান্তে সিরিয়ালের তৃতীয় জন শেখ নজরুল ইসলামকে অধ্যক্ষের দায়িত্বে দেওয়া হয়। ৯ জন শিক্ষকের জ্যোষ্ঠতা লঙ্ঘন করে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কাউখালী মহাবিদ্যালয় সরকারি ভূক্ত হলেও এখন সম্পূর্ণ সরকারিকরণ হয়নি। তাই একাডেমিক কাউন্সিলও নেই, আছে পূর্বের শিক্ষক পরিষদ। তাই সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষক পরিষদে রেজুলেশন হওয়ার পরে কার্যকর করা হয়।

বাড়তি টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে যাহা পূর্বে কলেজ বেসরকারি থাকাবস্থায় গভার্ণিং বডি কর্তৃক রেজুলেশনের মাধমে উক্ত টাকা পরীক্ষা পরিচালনার সময় খরচ বহন করার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়। এ কারণে টেষ্ট ও অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ২টি আলাদা রশিদে টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তারা আরও জানান শিক্ষক পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযোগকারী শিক্ষক যিনি শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোঃ মনিরুল ইসলামের স্বাক্ষরে পাশ হয়েছিল  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব ভাতা হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

অধ্যক্ষ শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, পূর্বের অধ্যক্ষের সময় ব্যাংকে ছিল ১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। বর্তমানে আমার দায়িত্বরত অবস্থায় ব্যাংকে জমা আছে ১২ লক্ষ টাকা। বর্তমানে কলেজের লেখাপড়ার মান বিগত সময়ের চেয়ে অনেক ভাল এবং শিক্ষকরাও অনেক আন্তরিক। কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন, সময়মতো ক্লাস নেওয়া এবং উপস্থিতি আমি দায়িত্বে আসার নিয়মের ভিতরে নিয়ে এসেছি। কলেজের ৪ জন শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন উক্ত অভিযোগ একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে কলেজের এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। তার প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যে কলেজের ৩৬ জন শিক্ষকের ভিতরে ৩২ জন শিক্ষক, অফিস সহকারী, পিয়ন, রেজুলেশন করে এই মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব