ডেঙ্গু জ্বরকে ঘিরে বরিশালে বেশ তৎপরতা চালাচ্ছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জনিত জ্বরে আতংকিত না হয়ে সচেতনতার পাশাপাশি প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে নগরজুড়ে বেশ জোরেশোরে মশক নিধনে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে সিটি করপোরেশন। অবশ্য সকল ওয়ার্ডে এখনো মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে। এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ৮জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
বিসিসি সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল নগরের ৩০ টি ওয়ার্ডে ১৫ জন কর্মী মশক নিধনে হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ৪ সদস্যের একটি আলাদা টিম সরকারি অফিস, বস্তি এলাকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মশক নিধনের ওষুধ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদিন বিকেলে ফগার মেশিনের মাধ্যমে নগরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে ওষুধ দিচ্ছে।
এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ নগরকে সার্বিক পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রায় সাড়ে ৪ শত পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হোসান বাবলু বলেন, মশক নিধনের জন্য বর্তমান মেয়র বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ করা। আগে বিভিন্ন মাধ্যমে এগুলো সরবরাহ করতে গিয়ে নানান জটিলতা ও বিলম্বের সৃষ্টি হলেও এখন কোম্পানির সাথে সরাসরি চুক্তি করেছেন মেয়র। যাতে গুনগত মান বজায় রেখে সঠিক মূল্যে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ করা যায়। এছাড়া নগরের জনসাধারণকে ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি নগর পরিষ্কার রাখা ও নিয়মিত মশক নিধনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী ২৫ থেকে ৩১ জুলাই সারাদেশের সাথে বরিশাল সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মশক নিধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে জ্বর হলেই সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আমরা ৮ জন রোগীকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করেছি। যারমধ্যে ২ জন এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বাকী ৬ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৮ জন রোগীর মধ্যে ১ জন ঢাকা থেকে বরিশালে আসার পরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তবে এটা এ অ লে মহামারি আকার ধারণ করেনি।
তিনি আরো বলেন, এখন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের আমরা মেডিসিন ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসা দিচ্ছি। সবসময় ফলোআপে রাখছি, বিভিন্ন ধরনের সিমটম রয়েছে এসব রোগীদের। ডেঙ্গুতে চিকিৎসক মারা যাওয়ার বিষয়টি স্মরন করে তিনি বলেন, জনসাধারণের জন্য আমাদের পরামর্শ থাকবে জ্বর হলে ঘরে বসে ওষুধ সেবন না করে, হেলাফেলায় সময় নষ্ট না করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ডেঙ্গুর লক্ষন দেখা দিলে সরাসরি স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হউন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।