
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৯

বাংলাদেশের সেক্যুলারেরা ট্রাম্পের কাছে করা প্রিয়া সাহার নালিশ প্রসঙ্গে বলছেন যে, ‘প্রিয়া সাহা দুর্বল ইংরেজীতে তার কথাটা ঠিকমতো বলতে পারেনি। কিন্তু তার অভিযোগ তো ঠিক আছে, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন তো হয়ই। এটা তো আর মিথ্যা নয়’। এই বক্তব্যের সত্য মিথ্যা নির্ণয়ের আগে আসুন আমরা এই ‘হিন্দু নির্যাতন’ শব্দবন্ধ নিয়ে আলাপ করি। আপনি যখন কোন রাষ্ট্রের নাগরিকদের (এখানে ধরা যাক হিন্দু সম্প্রদায়) একাংশকে আলাদা করে তার উপরে হওয়া নির্যাতন নিয়ে কথা বলেন তখন এটা অনিবার্যভাবে ধরে নিতে হবে এই সম্প্রদায়ের বাইরে আর কেউ নির্যাতিত হয়না বা হলেও সেটা উল্লেখ করার মতো নয়। ‘হিন্দু নির্যাতন’ শব্দগুচ্ছ দিয়ে যা যা বুঝানোর চেস্টা করা হয় সেগুলো আলাদাভাবে একটু আলাপ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে আওয়ামী শাসনে সবচেয়ে বড় হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনের ঘটনা হচ্ছে ক্রস ফায়ারে বিচার বহির্ভূত মৃত্যু। ২০১০-২০১৮ সালে ক্রসফায়ারে দেশে মোট মৃত ১৭৬৬ জনের মধ্যে মাত্র একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের। অর্থাৎ, ক্রসফায়ারের ভিকটিমদের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা ০.০৫%-এর কাছাকাছি বাংলাদেশে, যেখানে জনসংখ্যার অন্ততঃ ১০% হিন্দু। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবী করেছে ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে ধর্ষণ এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন এবং সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী। ওই একই সময়ে বাংলাদেশে মোট ধর্ষণের সংখ্যা ৩৯৬ নারী ও শিশু। তার অর্থ, ধর্ষণের শিকার যারা তাদের মধ্যে আন্দাজ ২% হলো হিন্দু।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব