মায়ের জন্য কিস্তিতে একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কেনেন পিরোজপুরের কামারকাঠী গ্রামের আব্দুর রহিম। সেই ফ্রিজেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে রিকশাচালক রহিম হয়ে গেলেন মিলিয়নিয়ার। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কেনা ফ্রিজে মিলে যায় ১০ লাখ টাকা। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-ফোর এর আওতায় ফ্রিজ ক্রেতাদের এ সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালটন। যে কোনো মডেলের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রতিদিনই ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আছে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক, টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি কিংবা নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুবিধা থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।
গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুর রহিমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির, নেছারাবাদ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম, ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মশিউর রহমানসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
আব্দুর রহিম জানান, বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং দুই ছেলে নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার তার। টাকা ধার করে কেনা রিকশা নিয়ে দিন-রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন তিনি। ৯ জুলাই স্বরূপকাঠিতে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘হক এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ১,৮০৬ টাকার মাসিক কিস্তিতে ফ্রিজটি কেনেন তিনি। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।
তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের এত বড় অফারের কথা জানতাম না। মায়ের দোয়ায় এটা হইছে। এই টাকা দিয়া জমি কিনা পোলাপানেরে দিমু, যাতে আমি না থাকলেও ওরা চলতে পারে।’ এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন আরও তিনজন। তারা হলেন, চাঁদপুরের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জাকির, কুমিল্লার রাজমিস্ত্রি নাজমুল হাসান এবং ফেনীর কাঠমিস্ত্রি মোহাম্মদ ইয়াছিন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।