পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এ একে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততায়, মেধায় ও যোগ্যতায় সেরা। তিনি মাদার অফ হিউম্যানিটি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বের সেরাদের সেরা একজন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীর অংশে ভাঙন কবলিত এলাকার পরিদর্শন করতে। পানিবন্দি মানুষের যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা ও বাঁধ নির্মাণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের টেপিবাড়ী এলাকায় (মলাহদ) নামক বাঁধ ভাঙন স্থান পরিদর্শন শেষে ভূঞাপুর পৌরসভা সংলগ্ন সুইচ গেটের পাশে উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন সমূহের বন্যা ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পূর্বে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আরোও বলেন, ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের উপজেলার টেপিবাড়ী, তাড়াই এলাকায় ভাঙনকৃত রাস্তা মেরামেতের কাজ শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। মেরামেত কাজে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্য যমুনা নদীর পূর্বপাড়ের বেরী বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। শুধু তাই নয় ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি বাঁধও দেয়া হবে।
এছাড়াও দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মো. এনামুর রহমান এমপি বলেন, সারাদেশে একযোগে বন্যা শুরু হয়েছে। আমরা যথা সাধ্য চেষ্টা করছি বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বন্যা চলাকালীন অবস্থায় আমাদের এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে ত্রাণ দিয়ে আপনাদের ছোট করতে চাই না। তাই বন্যা শেষ হলেই আপনাদের এলাকা রক্ষা করতে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে। তিনি আরোও বলেন, ভূঞাপুরে গবাদীপশু আশ্রয়ের জন্য একটি মুজিবকেল্লা করা হবে।
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল-০২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-০৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, টাঙ্গাইল- ০৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল হক টিটু, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় (বিপিএম), ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এড্ভোকেট আব্দুল হালিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ, পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা বন্যা দুর্গত এলাকার ১ হাজার ৯’শ টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।