র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, জঙ্গিবাদ দমন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব শুরুু থেকে যে কোন ধরণের অপরাধী, অপহরণ, মাদক উদ্ধার, অপহ¦ত ভিকটিম উদ্ধারসহ দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিভিন্ন প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করতে সার্বক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন কানাইপুর বাজার এলাকায় কিছু ব্যক্তি প্রতারণা করে জনসাধারণের নিকটে জাল নোট সরবরাহ করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে। ঘটনা সত্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির পর র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ১৮ জুলাই ২০১৯ইং তারিখ দুপুরে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন কানাইপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে গৌরী কনফেকশনারী দোকানের সামনে হতে ১। মোঃ সজিবুর রহমান(২৪), পিতা- মোঃ কায়েম শেখ, সাং- পশ্চিম গাড়াখোলা, থানা- মধুখালী, জেলা- ফরিদপুর, ২। মোঃ পাভেল মিয়া(২৮), পিতা- মোঃ মতিন মিয়া, সাং- রাইকা খাসকান্দি, থানা- কোতয়ালী, জেলা- ফরিদপুরদ্বয়কে ১০টি ১০০০/-টাকার নোট সহ সর্বমোট ১০,০০০/-জাল টাকা সহ হাতে নাতে আটক করে। এ সময় আটককৃত আসামীদের হেফাজত থেকে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহিৃত ০৪ টি সীমকার্ড সহ ০২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে ও স্থানীয় লোকজনের নিকট হতে জানা যায় যে, ধৃত আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সাথে প্রতারণা করে জাল টাকা আদান প্রদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। উদ্ধারকৃত জাল টাকাসহ আটককৃত আসামীদ্বয়কে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে জাল টাকা রাখার অপরাধে আসামীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।