আশুলিয়ায় দফায় দফায় চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান। আর রাতের আধারে এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে যারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা, সে সমস্ত হোতারা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আশুলিয়ায় বিভিন্ন প্রভাবশালী ও অসাধু চক্রের দেয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আশুলিয়ার জিরাবো, তৈয়বপুর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান পরিচালনা করেন তিতাস কতৃপক্ষ । এ সময় প্রায় এক হাজার রাইজার, রেগুলেটর ও চুলা জব্দ করা হয়।এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজে তিতাসের প্রায় ৯০ জনের একটি টিম অংশ নেয়।সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় অসাধু গ্যাস ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সংযোগ দিয়েছে ।
এমন খবরে আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আজ তৈয়বপুর এলাকায় প্রায় ১হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করা হচ্ছে এবং রাইজারগুলোসহ চলা জব্দ করা হচ্ছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া যারা অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি। এ সময় সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ- ব্যাবস্থাপক ও প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দীন আহম্মেদ, সহ- ব্যাবস্থাপক আব্দুল মান্নান, ঠিকাদার মনির হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্যঃ তৈয়বপুর এলাকার স্থানীয়রা জানান, ইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ফারুক মিয়া, জাহাঙ্গীর, শাকিল,দেলোয়ার,গিসু,মোসলেম, মোতালেবসহ এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তিদ্বয় মিলে তৈয়বপুর এলাকায় বাড়ি প্রতি (১০০০০) দশ হাজার টাকা নিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান করে, সেই সাথে প্রতি বাড়ি থেকে মাসে (৫০০) পাচঁশত টাকা করে আদায় করছে। তিতাস কতৃপক্ষ এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারনে আমরা সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। আর অবৈধ সংযোগ দিয়ে যারা লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলো তারা বহাল তবিয়তে, থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ প্রদান করে সরকার ও জনগনকে ঠকিয়ে কোটি টাকা ফায়দা লুটছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ হবে বলেও জানা স্থানীয়রা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ফারুক মিয়া ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আপনাদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে, আমি অবৈধ গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে কিছুই জানি না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।