নরসিংদীতে অপহরণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৯ই জুলাই ২০১৯ ০২:১৩ অপরাহ্ন
নরসিংদীতে অপহরণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার

নরসিংদীতে অপহরণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বায়েজিদ ইব্রাহিম (১৪) নামে ৮ম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।এ সময় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিকারী অপহরণকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণের শিকার মাদ্রাসার ছাএ বায়েজিদ শিবপুর উপজেলার ভরতের কান্দি এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ মিয়ার ছেলে ও নরসিংদী শহরের জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র। গ্রেফতারকৃতরা হল ভরতেরকান্দী গ্রামের। খালেদ মিয়া (২৫),পিতা সামসুল হক, ভেলাব ইউনিয়নের মরিচা কান্দা গ্রামের নয়ন দাস,পিতা উত্তম কুমার, শিবপুর থানার দঃ সাধারচর পেতিপলাশী গ্রামের নাজমুল হাসানের ছেলে মেহেদী হাসান (২০)দঃ জানারচেস্টা গ্রামের মাহফুজ মিয়ান বাড়াটিয়া রানা মিয়া (১৮) পিতা বশির মিয়া, পলাশ থানার নোয়াকান্দা বক্তারপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে, রাসেদুল ইসলাম(২১) রায়পুরা থানার পলাশতলী ইউনিয়নের সাচিমারা গ্রামের হারুন মিয়ান ছেলে সৌরভ (২০)দঃ কারারচর গ্রামের, বাবুল মিয়ান ছেলে, তাইজুল ইসলাম (১৭)এ ঘটনায় জড়িত রায়পুরার পলাশতলী এলাকার সৌরভ (২০) নামে আরও একজন আসামী পলাতক রয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপারেন হল রুমেথাকবনা এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ ( বিপিএম পিপিএম) এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান, গত শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে পরীক্ষা শেষে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরছিলো বায়েজিদ ইব্রাহিম। মাদ্রাসার অদূরে শহরের বনবিভাগ এলাকায় পৌঁছালে অপহরণকারীরা বায়েজিদকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেয়। পরে তাকে জেলার ভিবিন্ন থানা এলাকাতে নিয়ে যাওয়া হয়, রায়পুরা, বেলাব, মাধবদী, পলাশসহ বিভিন্ন স্থানে জিম্মি করে আটক রাখে অপহরণকারীরা। ঐ দিনই অপহরণকারীরা ফোন করে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অন্যথায় হত্যার পর লাশ গুম করে রাখার হুমকি দেয়।

বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারকে জানানো হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া আলম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করে এবং অপহৃত ছাত্র বায়েজিদ ইব্রাহিমকে সুম্হ অবস্হায় উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীরা অল্প সময়ের মধ্যে ধনী হওয়ার ইচ্ছে থেকেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিল বলে জানান পুলিশ সুপার।

ইনিউজ ৭১/এম.আর