আদালতের জারি করা স্থিতিঅবস্থা উপেক্ষা করে আগৈলঝাড়ায় পয়সারহাট বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে এক সংখ্যালঘু ও সড়ক জনপথ বিভাগের সম্পত্তি দখলে মরিয়া স্থানীয় প্রভাবশালী এক ভুমি দস্যু। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। অবৈধ দখল অবমুক্তর কথা বলেছেন ইউএনও। উপজেলার পয়সা গ্রামের ভুক্তভোগী মৃত. যুধিষ্টির হালদারে ছেলে সংখ্যালঘু যোগেশ হালদার অভিযোগে বলেন, আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ আ লিক মহাসড়কে পয়সারহাট বাস ষ্ট্যান্ডের পূর্বে পাশে বাকাল ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন রাস্তার পাশে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। মহাড়কের অধিগ্রহনকৃত জায়গা বাদে তারা ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলো। গত বুধবার সন্ধ্যার পর চাঁদত্রিশিরা গ্রামের মহব্বত আলী মোল্লার ছেলে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি দস্যু অশ্রু মোল্লা তার সন্ত্রাসী দল নিয়ে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সওজ বিভাগ ও সংখ্যালঘু যোগেশ হালদারে জায়গা ভরাট করে।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে অশ্রু মোল্লার উপস্থিতিতে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও সংখ্যালঘু যোগেশ হালদারের জায়গা দখল করতে জোর পূর্বক দোকান ঘরের ফ্রেম দাড় করায়। এসময় সংখ্যালঘু যোগেশের পক্ষে স্থানীয়রা বাধা দিলে অশ্রæল মোল্লা ও তার লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারমুখী অবস্থার সৃষ্টি হয়। এদিকে জায়গা দখলের পায়তারার আশংকায় ওই গ্রামের আক্কাস তালুকদারের ছেলে শাহ আলম তালুকদার পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিকানা দাবি করে মঙ্গলবার (২৮মে) বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে আইন শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের স্থিতিঅবস্থা জারির খবর শুনে তড়িঘড়ি করে অশ্রু মোল্লা জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
জায়গা দখলের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও এসআই নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছে আদালতের নির্দেশে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে আইন শৃংখলা রক্ষায় স্থিতিঅবস্থা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জায়গার মালিকানা সম্পর্কে অশ্রু মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার জায়গায় তিনি ঘর তুলতেছেন, তাতে অন্যের কি? কারো কাছে তিনি কিছু বলবেন না বলেও জানান। বরিশাল সওজ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ মিয়া বলেন, তাদের জায়গা বে-দখলের খবর তার জানা নেই, তবে এখন জানার কারণে সেখানে লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছেন। আদালতের নির্দেশ, সরকারী জাংগা ও যোগেশের জায়গা অবমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।