ঢাকার বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৫ জনের মৃত্যুর পর এখন দমকল কর্মকর্তারা বলছেন, ভবনটিতে সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড থেকে পালানোর সিঁড়ি ছিল ঠিকই – কিন্তু তা ছিল তালাবন্ধ। এ বিষয়ে দমকল বিভাগের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাজাহান শিকদার বলেন, ‘এই ভবনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল। ফায়ার এস্কেপ হিসেবে একটি লোহার সিঁড়ি থাকলেও, বিভিন্ন ফ্লোরে সেটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি বাংলা।
ওই প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয়- অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবন থেকে বেরুনোর এই সিঁড়িটি লোহার ফ্রেমের তৈরি এবং খুবই সরু। দমকল কর্মকর্তারা জানান, কিভাবে আগুন লাগলো বা ক্ষয়ক্ষতি কতো হয়েছে, আনুষ্ঠানিক তদন্তের পরে তা জানা যাবে। দমকল কর্মকর্তা শাজাহান শিকদার জানান, শুক্রবার এফআর টাওয়ারের তল্লাশী কার্যক্রম শেষ করেছে দমকল বিভাগ। দুপুর আড়াইটার দিকে ভবনের দায়িত্ব পুলিশের কাছে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের প্রতিটি স্থান আমরা তল্লাশি করে দেখেছি, আর কোন মৃতদেহ পাওয়া যায়নি’। তিনি জানান, ‘গতকাল রাতে তল্লাশী করার পর, ভোর ৬টা থেকে আমরা আবার কাজ শুরু করি। নতুন করে আগুনের উৎপত্তি হওয়ার সম্ভাবনাও আর নেই। ভবনের ভেতর অনেক অফিস এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। খোলা ল্যাপটপ, মানিব্যাগ, ডলার বা টাকাপয়সাও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।’
পুলিশ দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই ভবনে যেসব প্রতিষ্ঠানের অফিস ছিল – তাদের প্রতিনিধিদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়। তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আসবেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক মো: জাভেদ পাটোয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দমকলের কাছ থেকে ভবনের দায়িত্ব নিয়েছি। এখন বুয়েটের একটি দল ভবনটি পরীক্ষা করে দেখবে যে, এর অবকাঠামো ঠিকঠাক আছে কিনা। এর ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে, কবে নাগাদ ভবনটি পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে।’ তিনি জানান, আগুনের ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে তারা আশা করছেন, আহত বা নিহতদের পরিবারের কেউ মামলা দায়ের করতে এগিয়ে আসবেন। না হলে পুলিশ বাদী হয়েই মামলা করা হবে। ভবনের মালিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে, তবে এখনো কোন যোগাযোগ হয়নি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।