নিখোঁজ আর নিহতদের খোঁজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করিডরে করিডরে ঘুরছেন স্বজনরা। অনেকেই আপনজনকে খুঁজে পেয়ে আশায় বুক বাঁধছেন। অনেকেই প্রিয়জনের লাশ সনাক্ত করার পর ভেঙ্গে পড়েছেন কান্নায়। আবার অনেকে আহত-নিহত কোন তালিকাতেই খুঁজে পাননি স্বজনদের।ডিএমসির মর্গের এক কোণায় আফরোজার বাবার আর্তচিৎকার। উদভ্রান্তের মত ছোটাছুটি। কখনও আবার ফায়ার সার্ভিসের লোকদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছেন প্রিয়জনের একটা খবর। কিন্তু তখনও তিনি জানেন না জামাতার মৃত্যুর খবর। এক মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল মেয়ের।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলের একটি টেলিফোনের দোকান ছিলো তার জামাতার। বড় ভাইকে নিয়ে সেসময় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই ছিলেন তিনি। আগুনের লেলিহান শিখা শেষ করে দিয়েছে তাদের সব স্বপ্ন।পেশায় জুতার ব্যবসায়ী, মোশাররফ হোসেন বাবুল। আরেক ব্যবসায়ী বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় ট্রাফিক জ্যামের কারণে থেমেছিলো তার রিকশা। সেই থামাই কাল হলো তার জন্য। হঠাৎ বিস্ফোরণে অজানায় হারিয়ে গেলেন বাবুল।তবে বিধাতার লীলা খেলায় বেঁচে গেছেন রিকশায় তার সঙ্গে থাকা বন্ধু সাইফুল ইসলাম। আহত হয়ে প্রানভয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর, মর্গে এসেছেন বন্ধুর লাশ খুঁজতে। অবশেষে মরদেহ শনাক্তের পর ভেঙ্গে পড়েছেন অঝোর কান্নায়।
বেঁচে যাওয়া সাইফুল বলেন, একসঙ্গেই রিকশায় ফিরছিলাম আমরা। এরমধ্যেই বিকট শব্দে দুইতলা সমান আগুন। আমরা দুইদিকে পরে গেলাম। আমার মাথায় আগাত লাগে। কিন্তু আমার বন্ধু তো আর নেই। রিকশাওয়ালা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।তারা অন্তত মরদেহটি খুঁজে পেয়েছে স্বজনের। তবে এতোটা সৌভাগ্যও ছিলোনা সবার। ভবনটির পাশের এক ডেকোরেটরের দোকানে থাকা জুম্মনের কোন খোঁজ-ই জানা নেই স্বজনদের। নানা মানুষের কথা শুনে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে মর্গে এসে পৌঁছেছেন তারা। আশা যদি একটা খবর মিলে প্রিয় মানুষটার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।