এসএসসি পরিক্ষার তদারকী কর্মকর্তার বাড়াবারি, পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজী আবুল কালাম , উপজেলা প্রতিনিধি ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)
প্রকাশিত: শনিবার ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
এসএসসি পরিক্ষার তদারকী কর্মকর্তার বাড়াবারি, পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ইন্দুরকানীতে এসএসসি পরিক্ষায় বোর্ডের নিয়ম অমান্য করে পরীক্ষার্থীদের বৈধ ক্যালকুলেটর জব্দ করায় শতাধিক পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা। জানাযায়, শনিবার উপজেলার ইন্দুরকানী সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়এসএসসি সাব-কেন্দ্রে গনিতপরীক্ষার প্রথম ৩০ নম্বরের ৩০ মিনিটের এমসিকিউ পরীক্ষাশুরু হওয়ার প‚র্বেই দায়িত্বরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সকল পরীক্ষার্থীর ক্যালকুলেটর নিয়েযান। পরীক্ষার্থীরা দায়িত্বরত কর্মকর্তা কে তাদের ক্যালকুলেটর বৈধ দাবী করে ফেরৎ চাইলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন দাম্ভীকতার সাথে পরীক্ষার্থীদের বলেন, আমি বিসি এস দিয়ে এসেছি আমি বোর্ডের সব নিয়ম কানুন জানি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টিহলে ১৫ মিনিট পর ওই কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ক্যালকুলেটর ফেরৎ দেন। এতে গণিতের এমসিকিউতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা খারাপ হয়। কর্মকর্তারএমন আচরণে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে অনেক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। বোর্ডের নিয়মমানুযায়ী পরীক্ষার্থীরা ঋঢ-৫৭০গঝ, ঋঢ-৮২গঝ, ঋঢ-৯৯১গঝ, ঋঢ-১০০গঝ ক্যালকুলেটর ব্যবহারকরতে পারবে।

বোর্ডের নিয়ম মেনেই শিক্ষার্থীরা উল্যে খিত মডেলের ক্যালকুলেটর নিয়েপরীক্ষা কেন্দ্রে যায়। কিন্তু কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বোর্ডের ্রনির্দেশনা না মেনেই সকল শিক্ষার্থীর ক্যালকুলেটর জব্দকরে। পরীক্ষার্থী চাঁদনী ও এসা জানান,আমাদের বৈধ ক্যালকুলেটর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ে যাওয়ায় প্রতিবাদ করলে তিনি দম্ভ করে বলেন আমি বিসিএস দিয়ে এসেছি। আমি বোর্ডের নিয়ম কানুন সব জানি। ইন্দুরকানী এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার সন্তোষ কুমারশীল জানান, পরীক্ষা শুরুর আগেই দায়িত্বরত কর্মকর্তা ২৪৬ জন পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশর কাছ থেকে সকল ধরণের ক্যালকুলেটর নিয়ে যায়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পর তাদেরকে ক্যালকুলেটর ফেরত দেয়ায় মেধাবী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে জিজ্ঞাসা করুন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ জানান, আমাকে বিষয়টি জানাহলে আমি দ্রæত বৈধ ক্যালকুলেটর ফেরত দিতেবলি।এ ঘটনায় অভিবাবকদের মাঝে ক্ষোব বিরাজ করছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব