প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোকে দেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এক নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য এখানে বহুমুখী সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো, জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন বিনিয়োগের সুযোগ ক্রমেই বাড়ছে।
‘অ্যাডভান্সিং রিফর্ম, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের নীতি নির্ধারক ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অনুষ্ঠানে মেটলাইফ, শেভরন, এক্সেলেরেটসহ শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আহ্বান জানান।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও গতি দেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বিনিয়োগের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের দিকেও গুরুত্ব দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে যৌথ উদ্যোগ ও অংশীদারিত্ব অপরিহার্য। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে অংশীদার হওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
এই গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা তুলে ধরেন এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো ব্যাখ্যা করেন।