প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৯
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা চারটি পদ্ধতির পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে এই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব।
আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে, তবে কমিশন দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনায় থাকতে চায় না। দ্রুততম সময়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ বের করা হবে।
তিনি আরও জানান, কমিশন চায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে। এই লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও রাজনৈতিক দলের মতামতকে সমন্বয় করে একটি কার্যকরী সমাধান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশ নিয়ে যে মতপার্থক্য ছিল তা দূর করার চেষ্টা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কমিশন দ্রুতই একটি ঐকমত্যের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আশাবাদী।
কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক মাস সময় বাড়ানো হলেও এই সময়ের মধ্যে আলোচনা শেষ করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। কমিশন মনে করে, দীর্ঘ সময় না নিয়েও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাবেন এবং ২ অক্টোবর দেশে ফিরে আসবেন বলে উল্লেখ করেন ড. আলী রীয়াজ। এই সময়ের আগেই কমিশন চূড়ান্ত প্রস্তাব তৈরি করতে চায়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহসভাপতি করা হয়। এ ছাড়া প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
প্রথমে কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস নির্ধারণ করা হলেও পরে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর আরও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। সর্বশেষ মেয়াদ বাড়ানো হলো ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে কমিশন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সমন্বয় করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি রূপরেখা চূড়ান্ত করতে চায়।