প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:২৮
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারে পৌঁছান। তিনি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন—কে এম আতিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তবে তাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় জানা যায়নি।
বিমানবন্দর থেকে তারা সরাসরি নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে যান এবং সেখান থেকে স্পিডবোটে মহেশখালীতে পৌঁছান। মহেশখালীতে পিটার হাস হোপ ফাউন্ডেশন ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘এক্সিলারেট হোপ হসপিটাল’ পরিদর্শন করেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালের প্রাঙ্গণে পৌঁছান।
হাসপাতালে প্রবেশের পর হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। তিনি হাসপাতালের অবকাঠামো ও চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন এবং হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতেও অংশ নেন।
পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলটি বড় মহেশখালীতে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তবে সেগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। বর্তমানে পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর সফর মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সফরের আগে সম্প্রতি কক্সবাজারে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে তার একটি গোপন বৈঠক হয়েছে এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। যদিও বৈঠকের সত্যতা পাওয়া যায়নি, তবে সেই আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই সাবেক রাষ্ট্রদূতের আবারও কক্সবাজার সফর নতুনভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পিটার হাসের এই সফর নিছক হাসপাতাল পরিদর্শন বা আনুষ্ঠানিকতা নয়; এর পেছনে থাকতে পারে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বার্তা। মহেশখালীর কৌশলগত অবস্থান এবং জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
সফর চলাকালীন কক্সবাজারে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়। বিমানবন্দর থেকে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি করেন। পিটার হাসের সফরসঙ্গী আতিকুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া কারা তা নিয়ে এখনও নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।