জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ

শুক্রবার সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সেই স্বতঃস্ফূর্ত সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পঞ্চাশ বছর পূর্তি এ বছর। পঞ্চাশ বছর আগে জাতি যখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতা ও বিভক্তির সংকটে নিমজ্জিত ছিল—তখন সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্য এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অরাজকতার অন্ধকার ভেদ করে নতুন এক রাষ্ট্রীয় দিকনির্দেশনার সূচনা হয়। ইতিহাসের সেই দিনেই আত্মপ্রকাশ করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজারো মানুষ সড়কে নামেন। সৈনিক ও জনতার কণ্ঠে একক স্লোগান ধ্বনিত হতে থাকে—‘সিপাহী-জনতা ভাই ভাই’, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, ‘জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ’। সেই দিন জাতি আবারও শুনেছিল সেই কণ্ঠধ্বনি—‘আমি জিয়া বলছি’। যে কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছিল, সেই একই কণ্ঠে জনগণ আশ্বাস পেয়েছিল নতুন বিশ্বাসের, নতুন পথচলার।

এই বিপ্লব দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করে। জাতি মুক্ত হয় বিদেশি রাজনৈতিক প্রভাব, নব্য-ঔপনিবেশিক পরিকল্পনা এবং ভূরাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের জাল থেকে। দেশের জাতীয় চেতনা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ নতুনভাবে বিকশিত হতে থাকে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, সাংস্কৃতিক পরিচয় ও স্বাধীন রাষ্ট্রচিন্তার বিকাশের ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

যদিও বিগত সময়ে এই দিনের তাৎপর্যকে খর্ব করতে নানা প্রচেষ্টা ও অপব্যাখ্যা দেখানো হয়েছে, তবুও সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ৭ নভেম্বর এখনো ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে গভীর আবেগ ও ঐতিহাসিক স্মৃতি বহন করে।