প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১৬:৪৫
সরকার নতুন করে ৫ আগস্টকে ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঐতিহাসিক আন্দোলনের গুরুত্ব ও স্মৃতিকে জাতীয়ভাবে চিহ্নিত করার প্রয়োজনে।
তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক কর্মসূচি পালন করা হবে, যার মধ্যে ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে মূল আয়োজন। এসব আয়োজনে সেই ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের চেতনা ও জনগণের ঐক্যকে তুলে ধরা হবে।
ফারুকী জানান, এই আন্দোলনের উদাহরণ তুলে ধরতে দেশজুড়ে থাকবে নাটক, আলোচনা, চিত্র প্রদর্শনী এবং স্মৃতি চারণ কর্মসূচি। রোববার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৫ আগস্টকে জাতীয় দিবস হিসেবে চূড়ান্তভাবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরকার একটি নতুন ধারার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পথ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে। ফারুকী আরও জানান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে স্বায়ত্তশাসিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি এই পরিবর্তনের রূপরেখা তৈরি করবেন। সরকারের এ পদক্ষেপগুলো সাংস্কৃতিক জাগরণ, ঐতিহাসিক সচেতনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন বার্তা দেবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, ঘোষিত দিবসটিকে ঘিরে সাধারণ মানুষ এবং ছাত্রসমাজের মধ্যে ইতোমধ্যে উদ্দীপনা দেখা গেছে। তারা আশা করছেন, এই দিনটির গুরুত্ব শুধু ছুটির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে তা জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে উদ্দীপনামূলক ভূমিকা রাখবে।
গণ-অভ্যুত্থানের এই জাতীয় স্বীকৃতি জাতি হিসেবে আমাদের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও সংগ্রামের স্মারক হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।