প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৫, ২১:২০
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এক বাণীতে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশে সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার প্রদত্ত ওই বার্তায় তিনি বলেন, এই দিবসটি শুধু একটি প্রতীকী উদযাপন নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক শক্তির মূল চালিকা শক্তি এসএমই খাতের ক্ষমতায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ।
ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উদযাপন হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। তিনি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডসহ (বিএবি) সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে শুভেচ্ছা জানান। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে মত দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এসএমই খাত আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বড় অংশ জোগান দেয়। এই খাতেই সৃষ্টি হয় বিপুল সংখ্যক নতুন কর্মসংস্থান, যা অর্থনীতির গতি বৃদ্ধিতে সহায়ক। তবে এসএমই উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। তাই এই খাতের টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজন বৈশ্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় আন্তরিক প্রচেষ্টা।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, এই ব্যবস্থা দেশের গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করে। এছাড়া, এটি পণ্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করে ক্রেতা আস্থা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড এ লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ১৫৫টি সরকারি-বেসরকারি ও বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থা।
শেষে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা যদি অ্যাক্রেডিটেড সেবা গ্রহণ করে মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে পারেন, তবে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে পারবেন। এতে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।