ইরেশ যাকের ছিলেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় সমর্থক-ফারুকী

ফারুকী বলেন, "ইরেশ যাকেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং জুলাই আন্দোলনের পক্ষে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল।" তিনি আরও বলেন, এই মামলা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়নি, বরং অন্য একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। ফারুকী নতুন বাংলাদেশে সবারই মামলা করার অধিকার রয়েছে, তবে তিনি মনে করেন যে কেউ কেউ এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করছেন। 

এ সময় ফারুকী বলেন, "আমি বিশ্বাস করি পুলিশ এই মামলা নিয়ে সঠিক তদন্ত করবে। যদি কিছু মিথ্যা হয়, তাহলে তা বাতিল হয়ে যাবে এবং সত্যি উদ্ঘাটিত হবে।" তিনি আরও যোগ করেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, কিন্তু কেউ যদি তার স্বাধীনতা অপব্যবহার করেন, তবে সেটি একান্তই ভুল হবে। 

ফারুকী সংস্কৃতির বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব এবং কাজের প্রসঙ্গেও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, "সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সব সময় সংস্কৃতি সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে জড়িত থাকে এবং তারা প্রচুর কাজ করছে, যদিও অনেক কাজ মিডিয়াতে আসছে না।" এর উদাহরণ হিসেবে তিনি টাঙ্গাইলের একটি পাঠাগারের ঘটনা উল্লেখ করেন, যেখানে একটি পক্ষ পাঠাগার থেকে বই সরিয়ে ফেলেছিল। পরবর্তীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে এই বিষয়টি সমাধান হয়। 

এছাড়া, ফারুকী সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত শর্টফিল্ম ‘আলী’-র কলাকুশলীদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি জানান, দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দৃশ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। 

ফারুকীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, তদন্তের মাধ্যমে সবকিছু পরিষ্কার হবে এবং দেশের সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রের উন্নতি অব্যাহত থাকবে।