ঢাকায় ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন

ঢাকায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের জামাতগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ১৫ হাজার পোশাকধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে এবং কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন যাতে কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে, সেদিকে নজর রাখা হবে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশ নেবেন। এছাড়া বায়তুল মোকাররমে ৫টি জামাতের মধ্যে প্রথমটি সকাল ৭টায় শুরু হবে। ঢাকায় ১১১টি ঈদগাহ এবং ১ হাজার ৫৭৭টি মসজিদে মোট ১ হাজার ৭৩৯টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

নিরাপত্তার অংশ হিসেবে জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে এবং তল্লাশির জন্য আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০টিরও বেশি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে যা কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।

ঈদগাহের তিনটি প্রধান প্রবেশ গেটে ব্যারিকেড বসানো হবে, যেখানে তল্লাশি চালানো হবে। আশপাশের এলাকাগুলোতেও কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। সোয়াত, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ব্যাগ, ধারালো বস্তু বা দাহ্য পদার্থ না আনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে ৯৯৯ অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া যান চলাচলে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে ডাইভারসন থাকবে এবং কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

সকালে ৬টা থেকে ঈদের নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিরো পয়েন্ট, ইউবিএল ক্রসিং, দোয়েল চত্বরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গাড়িযোগে আগত মুসল্লিদের নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি পার্কিং করে পায়ে হেঁটে ঈদগাহে প্রবেশের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই। বিশেষ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো দল যেন ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। তিনি ঈদের জামাত শেষে মুসল্লিদের ধীরে সুস্থে সুশৃঙ্খলভাবে বের হওয়ার অনুরোধ জানান।