সিরাজগঞ্জে ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন, হামলায় পুলিশসহ আহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
পারভেজ সরকার স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার ৮ই মার্চ ২০২৫ ০৭:২৫ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন, হামলায় পুলিশসহ আহত ৫

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ করার অভিযোগে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করতে গেলে, প্রতিপক্ষের আসামীর লোকজন হামলা চালায়। হামলায় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কাজীপুর উপজেলার পুরাতন মেঘাই বাজারে এই ঘটনা ঘটে।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ১৪ ডিসেম্বর কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর সিংড়াবাড়ি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় বাবলুর স্ত্রী-পুত্রসহ ৬ জন আহত হন। এ ঘটনায় বাবলুর ছেলে মেহেদী হাসান সুমন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আসাদুলসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। এরপর আসাদুলও হামলা ভাংচুরের অভিযোগ এনে বাবলুদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।


মামলা দায়েরের পর থেকে ওসি নূরে আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান বাবলু। ৫ মার্চ পুলিশ আসাদুলের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে, যা বাবলু ও তার কর্মী-সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও বিএনপির সমর্থকরা মেঘাই বাজারে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নেন। তবে মানববন্ধনের সময় আসাদুলের সমর্থকরা লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়, যার ফলে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ পাঁচজন আহত হন। পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।


বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান বাবলু অভিযোগ করেন, "আমার বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় আমার ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ আগে আসাদুলের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে পাঠিয়েছে, আমার মামলার অভিযোগপত্র দেয়নি। এই পক্ষপাতিত্বের কারণে এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল, কিন্তু আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।"


এদিকে, কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "পক্ষপাতের কোনো প্রশ্ন নেই। দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দুইজন অফিসারকে দেওয়া হয়েছে। আসাদুলের মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং বাবলুদের মামলার তদন্তও শেষ পর্যায়ে। কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।"


এ ঘটনার পর কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।