প্রাণ বাঁচাতেই বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়: বিএসএফ প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ১৫ই জুন ২০১৯ ১০:১৭ অপরাহ্ন
প্রাণ বাঁচাতেই বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়: বিএসএফ প্রধান

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) রজনীকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বাংলাদেশি চোরাচালানিরা যখন ভারতীয় জোয়ানদের ওপর ছুরি ও পাথর নিয়ে আক্রমণ করে তখনই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মূলত প্রাণ বাঁচাতেই বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালিয়ে থাকে।’ আজ শনিবার পিলখানা সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ে তিনদিনব্যাপী সম্মেলনের শেষদিনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক আরও জানান, ‘২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সীমান্তে ১৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এখনও সাত মাস বাকি রয়েছে। অথচ এর আগের বছরগুলোতে দেখা গেছে, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পর্যায়ক্রমে কমে এসেছিল। গতবছর মাত্র একজন বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে। তবে এবার হত্যা বেড়ে গেছে। এরপরও আমরা সীমান্তে হত্যা কমাতে জোয়ানদের নন-নেথাল অস্ত্র ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করছি। সামনে এ নিয়ে আরও জোরদার কাজ অব্যাহত থাকবে। যাতে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।’ মিয়ানমারের পর এখন ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবার চালান আসছে, এই বিষয়ে বিএসএফ প্রধান বলেন, ‘তৃতীয় একটি দেশ থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা আসছে। ভারত কোনোভাবেই ইয়াবা চোরাচালানের ব্যাপারে জড়িত নয়। বরং সম্প্রতি বাংলাদেশি দুজন নারী ইয়াবা নিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে জনতার হাতে ধরা পড়েছিল। বিষয়টি জানার পর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল।’

বৈঠকে বিজিবি প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাফিন আহমেদ বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়ার ব্যাপারে উভয়বাহিনী একমত রয়েছে। উভয়বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চোরাচালান বন্ধে কাজ আরও জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য চোরাচালান, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান ও নকল টাকা রোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, পিলখানায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফের মধ্যকার এটি ৪৮তম সম্মেলন। এতে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব