রমজানে বাজার স্থিতিশীল, চালের দামে অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: শনিবার ৮ই মার্চ ২০২৫ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
রমজানে বাজার স্থিতিশীল, চালের দামে অস্বস্তি

এবারের রমজানে বাজারের পণ্যমূল্য তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও চালের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। রোজার শুরুতে সয়াবিন তেলের সরবরাহে সংকট থাকলেও এখন তা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। খোলা সয়াবিনের সরবরাহ থাকলেও বোতলজাত তেলের সংকট রয়ে গেছে। সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম কম। রাজধানীর বাজারগুলোতে করলা ৬০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ৪০-৬০ টাকা, টমেটো ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।  


রমজানে লেবু, শসা ও বেগুনের চাহিদা বেশি থাকে। এবার এসব পণ্যের দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বেগুন ৬০-৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে ৮০-১০০ টাকা ছিল। লেবুর হালি ৪০ টাকা ও শসার কেজি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম গত বছরের তুলনায় কমেছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৬-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে গত বছর ১১০-১৩০ টাকা ছিল। আলুর দামও কমে ২০-২৫ টাকার মধ্যে এসেছে।  


বাজার করতে আসা ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ক্রেতা আবুল হাসান জানান, গত বছরের তুলনায় এবার রমজানে দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির। তবে চালের বাজারে এখনো অস্থিরতা কাটেনি।  


মুরগির বাজারেও কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ২২০ টাকা কেজি ছিল, এখন কমে ২০০ টাকায় নেমেছে। ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। প্রথম রোজায় ১৩০ টাকা ডজনে বিক্রি হলেও এখন ১১৯ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। তবে কিছু বিক্রেতা ৩-৪ টাকা বেশি রাখছেন।  


এ বছর এখন পর্যন্ত চিনি, খেজুর ও ডালের দাম তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঘাটতি থাকায় দাম একেক স্থানে একেক রকম। কেউ লিটারপ্রতি ১৮৫ টাকা, কেউ ১৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন।  


চালের বাজারের অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। আমদানি শুল্ক কমিয়েও ভোক্তারা তেমন সুবিধা পাচ্ছেন না। খুচরা পর্যায়ে মোটা চাল ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস ধরে একই আছে। মাঝারি ও সরু চালের দামও বেড়েছে, বর্তমানে মাঝারি চাল ৫৮-৬৫ টাকা ও সরু চাল ৭২-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা চালের বাজারে স্থিতিশীলতা চান।