ঢাকাসহ দেশে আবারও ভূমিকম্প, তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বুধবার ৫ই মার্চ ২০২৫ ১২:৪৬ অপরাহ্ন
ঢাকাসহ দেশে আবারও ভূমিকম্প, তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই

ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। এ সময়টি ছিল সকাল ১১টা ৩৬ মিনিট ২৯ সেকেন্ড। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল দেশের ৪৪৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর তীব্রতা কম অনুভূত হয়েছে।


ভূমিকম্পের পর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি একটি মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প ছিল। ভারতে এবং মিয়ানমারের সীমান্তে প্রাকৃতিক এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থান। তবে, বাংলাদেশের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আশ্বস্তকর।


এই ভূমিকম্পের ঘটনা প্রায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঘটেছে। এর আগে গত ১০ দিনের মধ্যে এটি ছিল দেশের চতুর্থ ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের এই ঘটনা দেশের বিভিন্ন অংশে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে ভূমিকম্পের ফলস্বরূপ বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা ধ্বংসের খবর এখনও পাওয়া যায়নি, যা বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের এমন পরিস্থিতি সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে দেখা যায়, বিশেষ করে মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে। এই এলাকার ভূতাত্ত্বিক গঠন এবং উপকূলীয় পরিবেশের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকে। তবে, বাংলাদেশে ভূমিকম্পের তীব্রতা কম থাকলেও সবার জন্য এটি একটি সতর্কতার বার্তা।


এই ভূমিকম্পের ঘটনা স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষার মতো। এর মাধ্যমে তারা ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার সুযোগ পেয়েছে। বিশেষত, দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ কার্যক্রমের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে।


এদিকে, ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের এলাকাগুলোর বাসিন্দারা ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করলেও তারা কোনো বড় ধরনের ক্ষতির খবর দেননি।


এটি বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকলেও এখনও আমাদের প্রস্তুতি আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য। 


এখন পর্যন্ত, এবারের ভূমিকম্পে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, তবে সবার জন্য এটি একটি সতর্ক বার্তা। ভবিষ্যতে ভূমিকম্পের প্রভাব মোকাবিলায় আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।