মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি মাঠপাড়া গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে আতিয়ার রহমান (২৮) একদিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলাবাগান থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আতিয়ার ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে, সকালে খবর আসে যে তার রক্তাক্ত মরদেহ সড়কের পাশের একটি কলাবাগানে পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতের মরদেহ প্রথমে পথচারীরা দেখতে পান। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। মরদেহের পাশেই রক্তের দাগ ছিল, যা থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। নিহত আতিয়ারের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
নিহতের বাবা রহিদুল ইসলাম বলেন, তার ছেলের সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল না। তিনি একমাত্র ভ্যান চালিয়ে পরিবার পরিজনকে প্রতিপালন করতেন। তার ছেলেকে এইভাবে হত্যা করা হয়েছে কেন, সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা কোনো ধারণা পাচ্ছেন না। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার ছেলের হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন এবং জানান, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। তার নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে এবং তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী বিস্তারিত জানানো হবে। পুলিশ এখনও কিছু বলতে পারছে না, তবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে দ্রুত কাজ চলছে।
পুলিশ জানায়, মরদেহের পাশ থেকে কোনো ধরনের অস্ত্র বা অস্তিত্বগত কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। তবে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় এলাকাবাসী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে, ঘটনাটি স্থানীয় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আতিয়ারের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, যে বা যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এ ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কমানো যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।