আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন, যেখানে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশ দল ভারতের বিপক্ষে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মনস্থির করেছে, আর তাই প্রতিপক্ষের চিন্তা না করে নিজেদের শক্তি ও পরিকল্পনাতেই বিশ্বাস রাখছে টাইগাররা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ছিল আইসিসি একাডেমি মাঠে, যেখানে ভারত সুবিধা পেয়েছিল মূল মাঠে প্র্যাকটিস করার। আইসিসি ইভেন্টে ভারত বরাবরই এমন সুবিধা পেয়ে আসছে। তবে, বাংলাদেশের জন্য উইকেট দেখার সুযোগ ছিল না, যা কিছুটা চাপ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ দল ভারতের বিরুদ্ধে কোনো পরীক্ষামূলক একাদশ তৈরি করবে না, কারণ প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত খুব শক্তিশালী। টিম ম্যানেজমেন্ট এই ম্যাচে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। মাহমুদউল্লাহ, যিনি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেননি, শুরুর একাদশে থাকবেন বলে জানা গেছে। ভারতের বোলিং আক্রমণ স্পিন নির্ভর হলেও, বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামবে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ম্যাচের আগে জানিয়েছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে যেকোনো দলকেই হারানো সম্ভব। শান্ত বলেন, "আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ, আমরা বিশ্বাস করি এই টুর্নামেন্টে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। আমাদের পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে যেকোনো দিন যেকোনো দলকে হারানো সম্ভব।"
বাংলাদেশ এবং ভারত একে অপরকে দীর্ঘদিন ধরে মোকাবেলা করে আসছে। প্রথমবারের মতো ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুটি দল। এরপর থেকে তারা একে অপরের বিপক্ষে ৪১টি ম্যাচ খেলেছে, যেখানে ভারত ৩২টি ম্যাচে জিতেছে এবং বাংলাদেশ ৮টি ম্যাচে জয় লাভ করেছে।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসে মাত্র ৮টি জয়, তবে শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের তিনটি জয় ছিল। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায়। তবে তার আগে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভারতকে পরাজিত করে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সাফল্য ছিল।
২০২২ সালের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ভারতকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে, যা ভারতের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। এদের মধ্যে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত থাকলেও, বাংলাদেশ দল পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী এবং তারা নিজেদের পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চায়।
এখন, বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভারতকে মোকাবেলা করা এবং তাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করা, যা তাদের এই টুর্নামেন্টে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।