বিশ্বে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য মার্চ মাসে প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। যা মূল্যবৃদ্ধির নতুন রেকর্ড। শুক্রবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শস্য ও ভোজ্য তেলের বাজার অস্থির হয়ে পড়ায় খাদ্যের মূল্য রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত খাদ্য পণ্যের দামের ভিত্তিতে খাদ্যের মূল্য সূচক তৈরি করে এফএও। সূচক অনুসারে, গত মাসে তা ছিল গড়ে ১৫৯.৩ পয়েন্ট। তার আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এই সূচক ছিল ১৪০.৭ পয়েন্ট। যা ওই সময়ের জন্য রেকর্ড বৃদ্ধি ছিল।
গম, ভুট্টা, সূর্যমুখী তেলের বড় রফতানিকারক দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে এসব খাদ্য পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। গত ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিবেশি দেশটিতে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোয় ইউক্রেনের রফতানি স্থবির হয়ে পড়েছে।
গত মাসে এফএও সতর্ক করে জানায়, ইউক্রেনে সংঘাতের কারণে খাদ্যের মূল্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এতে অপুষ্টি বাড়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করে জাতিসংঘের সংস্থাটি।
এফএও জানায়, তাদের খাদ্যশস্যের সূচক মার্চ বেড়েছে রেকর্ড মাত্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। আর উদ্ভিজ্জ তেলের সূচক বেড়েছে ২৩ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বেড়েছে চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম।
কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে খাদ্য শস্যের সরবরাহে জটিলতার কারণে খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ছে। এমনিতেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে গত দশ বছরের মধ্যে এফএও সূছক সর্বোচ্চ ছিল।
খাদ্য শস্যের সরবরাহ ও চাহিদার পৃথক এক প্রাক্কলনে এফএও জানায়, ২০২০ সালে বিশ্বে গমের উৎপাদন কমে হতে পারে ৭৮৪ মিলিয়ন টন। গত মাসে এই প্রাক্কলন ছিল ৭৯০ মিলিয়ন টন। সংস্থাটির ধারণা, ইউক্রেনের শীতকালীন শস্যের অন্তত ২০ শতাংশ চাষ সম্ভব হবে না।
সূত্র: রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।