আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন আওয়ামী লীগ সরকারের অপরাধের ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে। বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে গোপন বন্দিশালা আয়নাঘরের প্রসঙ্গসহ নানা দিক উঠে এসেছে যা শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। এতে যেসব অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য। জাতিসংঘের প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক আদালতে দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং জাতিসংঘের সুপারিশ অনুযায়ী তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, তা জাতিসংঘের তদন্তে উঠে এসেছে। এটি শুধু বাংলাদেশের জনগণের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
তাজুল ইসলাম বলেন, যারা অপরাধে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর ভূমিকা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরেছে যা বিচার প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন করেছে। যারা এসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, এই প্রতিবেদন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, যেন তারা জাতিসংঘের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হতে পারে এবং এটি বিচার ব্যবস্থার জন্য এক ঐতিহাসিক নথি হিসেবে থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।