আজ রাত থেকে বন্ধ বাংলাদেশের সকল ট্রেন চলাচল !

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার ২৭শে জানুয়ারী ২০২৫ ১০:২১ অপরাহ্ন
আজ রাত থেকে বন্ধ বাংলাদেশের সকল ট্রেন চলাচল !

বেতন-ভাতা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এ কর্মসূচি কার্যকর হলে যাত্রীসেবা চরম সংকটে পড়বে। মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন তারা। দাবি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  


সোমবার ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে আন্দোলনরত রানিং স্টাফদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে এই বৈঠক কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। বৈঠকের পর রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জানান, মন্ত্রণালয় থেকে রাত ১২টার আগে দাবি মেনে নেওয়ার লিখিত কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  


সাইদুর রহমান বলেন, গত চার বছর ধরে আমরা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করে আসছি। বারবার সময় নিয়েও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের সমস্যার সমাধান করেনি। তাই এবার আমরা কর্মসূচি থেকে সরে আসব না। আমাদের ভাতা আগের মতো দিতে হবে এবং এই বিষয়ে দ্রুত লিখিত নির্দেশনা চাই।  


রেলওয়ে কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের রেল ভবনে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানালেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করে বিকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে রেলওয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম জানান, সমস্যা সমাধানে আলোচনা চালানো হচ্ছে এবং শিগগিরই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে বলে তিনি আশাবাদী।  


রানিং স্টাফরা দাবি করেছেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণে তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। রেলওয়ের সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসলেও সমাধান হয়নি। এমন অবস্থায় কর্মবিরতি কার্যকর হলে যাত্রী ও রেলওয়ের কার্যক্রম বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে পারে।  


রেলওয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের এই জটিলতা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। রেলওয়ে পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন, সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।  


রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান না হলে দেশের রেলসেবা অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা আরও ফলপ্রসূ হবে এবং সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান পাওয়া যাবে।  


এদিকে যাত্রীরা কর্মবিরতির ঘোষণায় উদ্বিগ্ন। অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।