ইসরায়েল সম্প্রতি একটি বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে ফিলিস্তিন, জর্ডান, সিরিয়া এবং লেবাননের ভূখণ্ডকে বৃহত্তর ইসরায়েলের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই মানচিত্রের মাধ্যমে তেল আবিব চারটি দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ফিলিস্তিন, জর্ডান এবং সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশ এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু-রুদেইনে এই মানচিত্রকে আন্তর্জাতিক আইন ও প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের দখলদারি নীতি, অবৈধ বসতি স্থাপন এবং আল-আকসা মসজিদের অবমাননা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নিতে হবে।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানচিত্রটিকে উস্কানিমূলক ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ড জর্ডানের সার্বভৌমত্ব কিংবা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে দুর্বল করতে পারবে না। জর্ডান ইসরায়েলকে এমন উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং সতর্ক করেছে যে এটি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা বাড়াবে।
সৌদি আরবও এই মানচিত্রকে চরমপন্থি ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ তাদের দখলদার নীতি সুসংহত করার উদ্দেশ্য প্রকাশ করে এবং মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা ইসরায়েলের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দেশটি অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সীমানার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছে।
ইসরায়েলের বিতর্কিত মানচিত্রটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই পদক্ষেপকে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার নতুন কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।