৩৭ বছর ধরে চুল কাটার কাজ করছেন ষাটোর্ধ্ব দিনেশ শর্মা। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা দিনেশ শর্মা বলেন, বাজারের চিত্র বদলালেও তিনি এখনো আগের মতোই পিঁড়িতে বসে চুল কাটছেন।
দিনেশ শর্মা জানান, ৩৭ বছর আগে যখন তিনি চুল কাটার কাজ শুরু করেছিলেন, তখন ওই বাজারে স্থায়ী কোনো দোকান ছিল না। সপ্তাহে দুদিন, মঙ্গলবার ও শুক্রবার, কিছু ব্যবসায়ী পসরা সাজিয়ে বাজারে আসতেন। তখন চুল কাটার মূল্য ছিল ১০ পয়সা এবং দাড়ি কাটার ৫ পয়সা। এখন সেই কাজের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে চুল কাটার ৩০ টাকা এবং দাড়ি কাটার ২০ টাকা। আজও প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আয় হয় তার।
তিনি বলেন, "৩৭ বছর পরে বাজারের চিত্র অনেক বদলেছে, তবে আমি বদলাইনি। এখনো সেই আগের মতোই পিঁড়িতে বসে কাজ করি।" দিনেশ শর্মার মতে, বাজারটি অনেক বড় হয়ে গেছে এবং সপ্তাহে শুধু দুদিন নয়, সারা সপ্তাহে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকে। তবে তিনি বলেন, অন্ধকার হলেই কাজ বন্ধ করে দেন।
দিনেশ শর্মা আরও জানান, তার দাম্পত্য জীবনে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। তিন ছেলেই নরসুন্দর পেশায় রয়েছেন, তবে তারা সেলুনে কাজ করেন, পিঁড়িতে নয়।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেলুনে চুল কাটার ইচ্ছা আছে কি এমন প্রশ্নের জবাবে দিনেশ শর্মা বলেন, "পিঁড়িতে বসে কাজ করতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন চাইলেও সেলুনে কাজ করতে পারব না। জীবনের বাকি দিনগুলো এভাবেই কাটাতে চাই।"
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নরসুন্দর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মগেন শর্মা জানান, উপজেলায় প্রায় ৪০ জন বয়স্ক নরসুন্দর পিঁড়িতে বসে চুল ও দাড়ি কাটেন, যারা কম টাকায় এ কাজ করে থাকেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।