আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্য মিথ্যা, যা শপথের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীতে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. নজরুল রাষ্ট্রপতির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “যদি রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে যাবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তিনি আরো বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা মতামত দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি স্ববিরোধিতা করছেন। তার এ পদে থাকার অধিকার নেই।”
এদিকে, দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানান, তার কাছে এর কোনো সরকারি প্রমাণ নেই। রাষ্ট্রপতি নিজেও বলেছেন, “শুনেছি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, তবে আমি পদত্যাগপত্র খুঁজে পাইনি।”
২০১৭ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের পর শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে কোনো পদত্যাগপত্র নেই।
বিশেষ করে, ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, “শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।” কিন্তু এই দ্বিমুখী বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অবশেষে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা আগামী নির্বাচনের পূর্বাপর প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে, যা সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।