প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪২
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব সরকারের, রাজনৈতিক দলের নয়। সরকার নির্বাচনের তারিখ মেনে চলবে এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত সময়েই ভোট কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সর্বজন স্বীকৃত একজন বিশ্বপর্যায়ে নন্দিত ব্যক্তি। তার ঘোষিত সময়সূচি থেকে পিছে আসার কোনো চিন্তা নেই।
আইন উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দল বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথা বলে। এটি একটি প্রথাগত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ, যা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে চলমান। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক বক্তব্যগুলোকে এ প্রসঙ্গেই দেখা হবে। তিনি জানান, কথাবার্তায় খুব বেশি গুণগত পরিবর্তন হয়নি।
দুদক ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের জন্য সুপারিশ ইতোমধ্যেই প্রস্তুত হয়েছে। আইন উপদেষ্টা জানান, এই সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য দুয়েক মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে। আজ থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের স্বচ্ছতা, সুষ্ঠু প্রক্রিয়া ও অবাধ ভোটের নিশ্চয়তার জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার চাইছে, ভোটাররা শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারুক।
আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে সমান সুযোগে ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি এই প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, সরকারের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে যাতে ভোট প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়। জনগণের আস্থা এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায় রাখা সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের এই বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, সরকার নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে দৃঢ় এবং কোনো দেরি বা স্থগিতকরণের সম্ভাবনা নেই। দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।