প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৬
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদে প্রকল্পের ব্যয় ও অনুমোদনের তথ্য অসত্য ও অসম্পূর্ণ বলে জানিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুল আলম এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
সচিব জানান, সংবাদে বলা হয়েছে ‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটি টাকায় অনুমোদিত’, যা প্রকৃতপক্ষে তথ্যবহুল নয়। প্রকৃত তথ্য হলো, প্রথম পর্যায়ের ১৩১টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে গড় ব্যয় ছিল প্রায় ৫৩.৫২ লাখ টাকা এবং এটি ছিল সীমিত অবকাঠামোযুক্ত সরকারি খাসজমিতে নির্মিত।
বর্তমান দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি ১২৩টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এর গড় অনুমোদিত ব্যয় ১৪.২০ কোটি টাকা, যা পূর্বের তুলনায় অনেক বড় এবং বিস্তৃত। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জমি অধিগ্রহণ, তিন তলা বিশিষ্ট প্যাভিলিয়ন, দর্শক ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট সাধারণ গ্যালারি, সীমানা প্রাচীর, ড্রেনেজ, সংযোগ সড়ক, সোলার প্যানেল ও চেয়ার সরবরাহ।
সচিব ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানান, জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামোর পরিসর বৃদ্ধি, সীমানা প্রাচীর ও ড্রেনেজ সংযোজন এবং ২০২২ সালের রেট সিডিউল অনুসারে মূল্য নির্ধারণের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সংবাদে ব্যক্তিবিশেষের প্রভাব উল্লেখের দিকটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে উল্লেখ করেন।
প্রকল্প অনুমোদনের ধারা অনুযায়ী প্রতিটি সিদ্ধান্ত একটি ব্যয় পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশ ও একনেক সভার আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাগণ উপস্থিত থেকে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে অনুমোদন দেন।
সচিব আরও বলেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কাঠামো, বাজেট এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বড় পার্থক্য রয়েছে। সংবাদে এ পার্থক্য উপেক্ষা করা হয়েছে, যা জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনাস্থার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
মন্ত্রণালয় এই ধরনের ভুল তথ্য পরিবেশনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং প্রকৃত তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল দফতর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, অনুমোদিত ব্যয় ও প্রকল্পের বাস্তবতা স্বচ্ছ এবং নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের এই প্রকল্প দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে ক্রীড়া ও যুব উন্নয়নের সুযোগ বাড়াবে।
প্রকল্পের লক্ষ্য এবং ব্যয় অনুমোদনের প্রক্রিয়া জনসাধারণের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে বিভ্রান্তি কমানো এবং বাস্তব তথ্য প্রচারের গুরুত্ব মন্ত্রণালয় পুনর্ব্যক্ত করেছে।