স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ব্ল্যাকমেইলিং এবং চাঁদাবাজির মতো অসাধু কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে উদ্যোগী হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে, হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে হয়রানির উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ব্ল্যাকমেলিং এবং চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে যাতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
এছাড়াও, মন্ত্রণালয় জনগণকে অনুরোধ করেছে যে, এ ধরনের অপতৎপরতা সম্পর্কে অবগত থাকলে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’–এ অভিযোগ বা তথ্য জানাতে পারেন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে আরও সচেতন এবং কার্যকরী ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সমাজে নৈতিকতার উত্থানে সহায়ক হবে। মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে যারা নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করছে, তাদেরও রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে, চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের এই ধারাকে থামাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর মনোভাব নিতে হবে, যাতে সাধারণ জনগণ নিরাপদে জীবনযাপন করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে যে, এই সতর্কবার্তা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং দায়িত্বশীল নাগরিকদের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।