চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে মালদ্বীপ। এই অবস্থার মধ্যে রোববার (৬ অক্টোবর) ভারত সফরে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মুইজ্জুর এটি হবে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। এর আগে গত জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সফরকালে মুইজ্জু ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
সফরের আগে, মালদ্বীপের দুই জুনিয়র মন্ত্রী মোদিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার কারণে পদত্যাগ করেছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরিয়ম শিউনা এবং মালশা শরিফ নামের ওই দুই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পদত্যাগপত্রে তারা ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগের কথা বললেও, বিশ্লেষকরা এটি রাজনৈতিক চাপের ফল হিসেবে দেখছেন।
মালদ্বীপের বিশ্লেষক আজিম জহির বিবিসিকে জানান, মুইজ্জুর এই সফরের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মালদ্বীপ ভারতকে অবজ্ঞা করতে পারে না। তিনি বলেন, "মালদ্বীপের ভারতের প্রতি নির্ভরতা এমন এক পরিস্থিতি, যা অন্য কোনো দেশে পূরণ করা সহজ নয়।"
মুইজ্জুর সফরের প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে অনুদান, সহায়তা এবং ঋণ পুনর্গঠন, যা দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় একটি সাহায্য হিসেবে কাজ করবে। গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দিয়ে দেশটি মাত্র এক থেকে দেড় মাস আমদানি করতে সক্ষম হবে।
মুহূর্তের মধ্যে, মুইজ্জুর ক্ষমতায় আসার পর ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যেখানে তিনি ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ থেকে চলে যেতে বলেন। এর ফলে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের সময় আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে, ভারত মালদ্বীপের হাই কমিশনারকে তলব করে।
অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে, ভারত মালদ্বীপকে সাহায্য করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে মালদ্বীপ এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে সাহায্যের আবেদন করেনি। বিশ্লেষকদের মতে, মুইজ্জুর সফর দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলানোর একটি সুযোগ হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।