রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পাটশিল্প বিকাশের স্বার্থে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্যের চাহিদা সৃষ্টিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যাগ প্রহণ করবে এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এতে পাট চাষিদের পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও পাটখাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি লাভ করবে।’ জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো ‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৯’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ দেশের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে যেমন গুরুত্বের দাবিদার, তেমনি বিশ্ব বাজারেও এটি একটি অনন্য পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহের আধুনিকায়নসহ পাটখাতের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০” এবং “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩” কার্যকর করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য পাট পাতা থেকে পানীয়, পাটের আঁশ থেকে ভিসকস ও পচনশীল পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ, জিও জুট টেক্সটাইল, পাটকাঠি থেকে চারকোলসহ ২৫০ প্রকারের পাটজাত পণ্য উদ্ভাবন ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পাটের জীবনরহস্য উদঘাটনসহ পাটের বহুমুখী ব্যবহারে সরকারের এ সকল উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’ বাণীতে তিনি জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।