আওয়ামী লীগের স্বমহিমায় ফিরে আসার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ৬ই অক্টোবর ২০২৪ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
আওয়ামী লীগের স্বমহিমায় ফিরে আসার ঘোষণা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারও স্বমহিমায় ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৯টায় দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেয়া হয়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, "বাংলাদেশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিতে আমরা ফিরে আসব।"


প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সময়ের সাথে সাথে সরকার পতন আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। এই আন্দোলনে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরো কয়েক হাজার আহত হয়েছে। আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে জনগণের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।


শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে আওয়ামী লীগ কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলন বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে শেখ হাসিনার নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছে।


অবশ্য আওয়ামী লীগ জানাচ্ছে, তারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রস্তুত। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, "আমাদের শিকড় অনেক গভীরে, এই দেশের জন্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক।" তাদের দাবি, দেশের ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে তারা আবারও জনগণের কাছে ফিরে আসবে এবং অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করবে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের এই ঘোষণা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি নতুন মোড় এনে দিতে পারে। দলটি যদি সত্যিই জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ শুরু করে, তাহলে দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হবে। তবে দলের নেত্রী শেখ হাসিনার ফিরে আসা ও সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রভাব কাটিয়ে উঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।


এদিকে, আওয়ামী লীগের এই ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য অনেক কাজ করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এখন অতীতের তুলনায় অনেক ভিন্ন। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার মধ্যে আওয়ামী লীগের এই ঘোষণা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।