প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। রবিবার (৬ অক্টোবর) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। এর ফলে দেশকে অস্থিতিশীলতার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, "সেনাবাহিনী দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।"
এদিনের অনুষ্ঠানে ১ম পর্বের পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পদোন্নতির জন্য কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা এবং বিশ্বস্ততার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।” তিনি বলেন, সৎ ও নীতিবান অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার।
ড. ইউনূস তার বক্তব্যের শুরুতে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সকলকে স্বাগতম জানান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহিদদের স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, "শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও এখানে এসে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় আমি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ।"
অনুষ্ঠান শেষে ড. ইউনূস সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। এ ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধের পরিচয় বহন করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।