অশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে সোমবার রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ফলে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত একশ' জন। এই ঘটনার পর গোটা শিল্পাঞ্চল থমথমে হয়ে উঠেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১৩ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, আহতদের চিকিৎসা চলছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।
অসন্তোষের মূল কারণ হিসেবে উপদেষ্টা বলেন, "গুজব ছড়িয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে। যারা আন্দোলন উসকে দিচ্ছে, তারা বাস্তবে কোনো পোশাক কারখানায় কাজ করছে না।" তিনি বলেন, এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলছে।
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে আসিফ মাহমুদ জানান, সম্প্রতি নারী শ্রমিককে ধর্ষণ ও দুজন হত্যার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে প্রথম গুলি চলে শ্রমিকদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী কেউ। এ ঘটনা পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণ হয় এবং ১৩ জন শ্রমিক আহত হন।
তিনি আরও বলেন, "পুলিশ, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া বেতন দেওয়ার বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। যদি মালিকরা বকেয়া বেতন না দেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এছাড়া, গতকাল ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা জানান, "অভিযানে যাদের চিহ্নিত করা যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তিনি পুলিশকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে বলেও জানান। আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমরা প্রতিদিনই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পথ খোঁজার চেষ্টা করছি।"
শ্রমিকদের এই সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের মনোভাবকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের মধ্যে এই সংঘর্ষের পরবর্তী প্রভাব শিল্পাঞ্চলে একটি অশান্ত পরিবেশ তৈরি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।