টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২৫ অপরাহ্ন
টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী এবং শুক্র-শনিবারের সরকারি ছুটি মিলিয়ে ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের ছুটি। আর এই ছুটি উপভোগ করতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে।


বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতে জোয়ারের পানির সঙ্গে উল্লাসে মেতেছে আগত পর্যটকরা। ছোট-বড় বৃদ্ধা সব বয়সের পর্যটকরাই যেন সমুদ্র দেখে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন। সৈকতে ঘুড়ি উড়াতে দেখা গেছে শত শত বাচ্চাদের। কুয়াকাটা শুটকি মার্কেট, রাখাইন মার্কেটগুলোতেও লেগে রয়েছে পর্যটকদের ভিড়। 


সাগরকন্যা নামে পরিচিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতই বাংলাদেশের একমাত্র জায়গা যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উভয়ই দেখা যায়। ইতোমধ্যেই কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলগুলোর শতভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, বুকিংয়ের এমন চিত্র আসন্ন শীতে পর্যটকদের ঢল নামার ইঙ্গিত।


পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অংশ থেকে পর্যটকরা কম খরচে এবং সময় সাশ্রয়ের মাধ্যমে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের সুবিধা পাচ্ছে। ফলে বর্তমানে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিকূল আবহাওয়া থাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিওন।


ছোট এবং বড় মিলিয়ে কুয়াকাটায় ১৭০টির মতো হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলের সম্মিলিত পর্যটক ধারণক্ষমতা মাত্র ১৫-২০ হাজার। ফলে আসন্ন তিন দিনের ছুটিতে অনেক দর্শনার্থী যারা রুম বুকিং না করেই চলে আসছে তারা রয়েছেন কিছুটা বিপাকে।


কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সদস্য রহিম খান জানান, একই সৈকতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সাক্ষী হওয়ার মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুটি উপভোগ করে রাতেই অনেকে নিজের গন্তব্যে ফিরে যান। তবে এবার পর্যাপ্ত রুমের চাহিদা রয়েছে। মূলত পর্যটকরা ছুটি কাটাতেই কুয়াকাটা এসেছে।


হোটেল সাউথ স্টারের পরিচালক মংচুমিন রাখাইন জানান, ২৮-২৯ সেপ্টেম্বরের জন্য শতভাগ রুম এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য ৮০ শতাংশ কক্ষ ইতোমধ্যেই বুক করা হয়েছে। ৩০ তারিখের অবশিষ্ট কক্ষগুলোর বুকিংও হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।


কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা কুয়াকাটার আশপাশে দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য ছুটছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ট্যুর গাইডের পক্ষ থেকে সব পর্যটকদের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি।


ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন। তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে, ফলে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, পর্যটকদের ক্রমাগত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে।