শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫২২ কার্তিক, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জাতীয়আইন-আদালতবাংলাদেশ

কে হচ্ছেন দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ২:৩১

শেয়ার করুনঃ
কে হচ্ছেন দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় চলতি আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ বিচারিক কর্মদিবস পালন করবেন তিনি। বর্তমান প্রধান বিচারপতির অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় আইনাঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে, কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি?

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ছাড়া বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন। জ্যেষ্ঠতা অনুসারে তারা হলেন- বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম।

আরও

নিষিদ্ধ রাজনীতিতে আ.লীগ সম্পৃক্ত হলেই সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

নিষিদ্ধ রাজনীতিতে আ.লীগ সম্পৃক্ত হলেই সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

তবে তাদের মধ্যে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। বর্তমান প্রধান বিচারপতির পর জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়েও তিনি সবার ওপরে। তার রয়েছে বর্ণাঢ্য বিচারিক ক্যারিয়ার। বর্তমানে আপিল বিভাগের ২ নম্বর বেঞ্চে তার নেতৃত্বে বিচারকাজ পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির সুপারিশের আলোকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা, সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নাম চূড়ান্ত। তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। তবে সরকার বা রাষ্ট্রপতি চাইলে আপিল বিভাগের যেকোনো বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন।

আরও

নিষিদ্ধ রাজনীতিতে আ.লীগ সম্পৃক্ত হলেই সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

নিষিদ্ধ রাজনীতিতে আ.লীগ সম্পৃক্ত হলেই সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন। সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ দান করিবেন।

সংবিধানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। তবে দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যে বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন তার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রথমে আইন মন্ত্রণালয়কে জানাবেন। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে ওই বিচারপতির ব্যাপারে ফাইল প্রস্তুত করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পর বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর প্রধান বিচারপতি নিয়োগের গেজেট জারি করবে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রধান বিচারপতির নিয়োগ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে ফাইল চূড়ান্ত করে সরকারপ্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন। সংবিধানে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি অ্যাটর্নি জেনারেল। 

সংবিধান কী বলে

সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে প্রধান বিচারপতি তার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বলে রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হলে ক্ষেত্র মতে অন্য কোনো ব্যক্তি অনুরূপ পদে যোগদান না করা পর্যন্ত বা প্রধান বিচারপতি স্বীয় কার্যভার পুনরায় গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারকের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণতম, তিনি অনুরূপ কার্যভার পালন করবেন।’

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ-সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারক নিয়োগ দেবেন। 

প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সংবিধানে তো বলা আছে মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন। কিন্তু সরকার বহু আগেই ঠিক করে রেখেছে প্রধান বিচারপতি কে হবেন? এখন আপিল বিভাগে যারা আছেন সবাই সরকারের আস্থাভাজন। তাই সিরিয়াল অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি হবেন। কোনো বিচারপতির প্রতি সরকারের কনফিডেন্স না থাকলে তখন জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার সেটা হবে না। কারণ সরকার আগেই আস্থাভাজনদের হাইকোর্ট থেকে সুপারসিড করে আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতির পর এখন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হবেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি।’ 

সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, অনেকাংশে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ, বিচারপতি নিয়োগে নানা অনিয়মের কারণে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গাটা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক বিবেচনায় হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আপিল বিভাগের মধ্যে থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিলে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগের দিক দিয়ে যারা সবার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আছেন তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে। এতে আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে না। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে (আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ) বিচারপতি হিসেবে কর্মরত এবং যিনি সবার সিনিয়র তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।’ 

জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ বারবার

এখন পর্যন্ত দেশে ২৩ জন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছেন। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়বার জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে বিএনপি সরকারের আমলে দুবার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে একবার এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ছয়বার এমন ঘটনা ঘটে। 

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীকে নিয়োগ না দিয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে  বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়াকে নিয়োগ না দিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

যদিও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হয়নি। ২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় থেকে এর প্রচলন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হওয়াদের অন্তত দুজন পরে প্রধান বিচারপতি হন। বাকি দুজনের একজন আপিল বিভাগে আর না বসে অবসরে যান। আরেকজন নীরবে পদত্যাগ করেন। বিচারপতি ফজলুল করিম চারবার জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের শিকার হলেও পঞ্চমবার প্রধান বিচারপতি হন।

প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে সংবিধানে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে যিনি কর্মে প্রবীণতম তার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। তাই রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে যেকোনো বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন।

২০০৩ সালে বিএনপি প্রথম জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে। তারা দুজন বিচারপতিকে (এম এম রুহুল আমিন ও ফজলুল করিম) ডিঙিয়ে বিচারপতি কে এম হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরে অবশ্য ওই দুজন প্রধান বিচারপতি হন।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালের মার্চে আপিল বিভাগে প্রথম বিচারপতি নিয়োগ দেয়। বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান ও বিচারপতি মো. আবদুল আজিজকে ৮ মার্চ এবং বিচারপতি বিজন কুমার দাস, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি এস কে সিনহাকে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৬ জুলাই। ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন অবসরে যান। এরপর আওয়ামী লীগ প্রথম প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সুযোগ পায়। ওই সময় জ্যেষ্ঠতম ছিলেন বিচারপতি মো. ফজলুল করিম। 

বিচারপতি ফজলুল করিমকে প্রধান বিচারপতি করা হলে বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলামের প্রধান বিচারপতি হওয়ার পথ রুদ্ধ হবে- এমন ভাবনায় সরকার বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলামকে ২০০৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২০১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে গেলে পরদিন বিচারপতি ফজলুল করিম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি অবসরে যান ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর।

পরবর্তী প্রধান বিচারপতি কে হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। ধারণা করা হয়েছিল বিচারপতি এম এ মতিন প্রধান বিচারপতি হবেন। কারণ, তিনি প্রধান বিচারপতি হলেও পরের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি খায়রুল হকের প্রধান বিচারপতি হতে সমস্যা ছিল না। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই বিচারপতি মতিনের অবসরের যাওয়ার তারিখ ছিল। বিচারপতি খায়রুল হক ও বিচারপতি মতিনকে এরপর আর একসঙ্গে বেঞ্চে দেখা যায়নি।

বিচারপতি খায়রুল হক অবসরে যান ২০১১ সালের ১৭ মে। ২০১১ সালের ১১ মে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সময় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারক ছিলেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান। তার আপিল বিভাগের বিচারক হওয়া নিয়েও জল্পনা ছিল। ওই ঘটনার পর ১২ মে তিনি পদত্যাগ করেন। তবে তিনি তার পদত্যাগপত্রে কোনো কারণ দেখাননি।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এই বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এরও চেয়ারম্যান ছিলেন।

বিচারপতি বোরহান উদ্দিন : বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ১৯৮৫ সালের ৩ মার্চ জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।১৯৮৮ সালের ১৬ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন। ২০০২ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হন। বোরহান উদ্দিন ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক এবং ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর স্থায়ী বিচারক হিসাবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম : বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ১৯৮৬ সালের ১০ অক্টোবর অধস্তন আদালতে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ সালের ২ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০২ সালের ১৫ মে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৫ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০১১ সালের ৬ জুন এই বিভাগে তিনি স্থায়ী নিয়োগ পান। ২০১৪ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে আনা হয়। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম : বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী : বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৫ সালে জেলা আদালতে এবং ১৯৯৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন : বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালের ৩১ অক্টোবর জেলা আদালত এবং ১৯৯১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার: দারিদ্র্য আর প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মনার লড়াই

স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার: দারিদ্র্য আর প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মনার লড়াই

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১০ বছরের প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১০ বছরের প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর

আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পারবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পারবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

ভূরুঙ্গামারীতে সন্দেহভাজন চার নারীকে পুলিশে সোপর্দ

ভূরুঙ্গামারীতে সন্দেহভাজন চার নারীকে পুলিশে সোপর্দ

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২৬১ আসামিকে পলাতক ঘোষণা

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২৬১ আসামিকে পলাতক ঘোষণা

সর্বশেষ সংবাদ

পদ্মায় নৌ পুলিশের অভিযানে জাল জব্দ, তিন জেলে আটক

পদ্মায় নৌ পুলিশের অভিযানে জাল জব্দ, তিন জেলে আটক

৬৬ দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার চূড়ান্ত নিবন্ধন অনুমোদন

৬৬ দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার চূড়ান্ত নিবন্ধন অনুমোদন

খাগড়াছড়ি সীমান্তে ২ লক্ষ টাকার বাংলাদেশী মালামাল আটক

খাগড়াছড়ি সীমান্তে ২ লক্ষ টাকার বাংলাদেশী মালামাল আটক

লজিস্টিক খাত আধুনিক ও টেকসই হবে বাংলাদেশে: প্রধান উপদেষ্টা

লজিস্টিক খাত আধুনিক ও টেকসই হবে বাংলাদেশে: প্রধান উপদেষ্টা

ফখরুলের বার্তা: বিএনপিকে অবজ্ঞা বিপদের কারণ

ফখরুলের বার্তা: বিএনপিকে অবজ্ঞা বিপদের কারণ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

৬৬ দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার চূড়ান্ত নিবন্ধন অনুমোদন

৬৬ দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার চূড়ান্ত নিবন্ধন অনুমোদন

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৬৬টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার চূড়ান্ত নিবন্ধন অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ১৬টি সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি জানার জন্য ১৫ কার্যদিবস সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইসি। এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ৭৩টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন জানায়,

লজিস্টিক খাত আধুনিক ও টেকসই হবে বাংলাদেশে: প্রধান উপদেষ্টা

লজিস্টিক খাত আধুনিক ও টেকসই হবে বাংলাদেশে: প্রধান উপদেষ্টা

সরকার দেশের পরিবহন, সরবরাহ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আধুনিক, দক্ষ ও টেকসই করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় লজিস্টিকস নীতি-২০২৫’ অনুমোদন করেছে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪৭তম বৈঠকে এই নীতি অনুমোদিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, নীতিমালার মাধ্যমে সরকারের কাজকর্মে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান হবে। তিনি বলেন, “এই নীতিমালা বাস্তবায়ন

গুম প্রতিরোধ আইনে মৃত্যুদণ্ডের কঠোর বিধান

গুম প্রতিরোধ আইনে মৃত্যুদণ্ডের কঠোর বিধান

গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ আইনে ‘গুম’কে রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যান্য পর্যায়ের সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে সাজা নির্ধারণ করা হবে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য

সিসি ক্যামেরা কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতে ইসির নির্দেশ

সিসি ক্যামেরা কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতে ইসির নির্দেশ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারই অংশ হিসেবে সিসি ক্যামেরা স্থাপিত ভোটকেন্দ্রগুলোর বিস্তারিত তালিকা প্রণয়ন করে দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জেলা নির্বাচন অফিসারদের। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে আপিলে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে আপিলে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা আপিলের নবম দিনের শুনানি বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) অব্যাহত রয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের মতো এ শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন রাষ্ট্রের পক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে বুধবার প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে একই বিষয়ে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি আদালতে বলেন, সংবিধানের