সুসজ্জিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিরাপত্তা বলয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২৫শে মার্চ ২০২৩ ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
সুসজ্জিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিরাপত্তা বলয়

মূল ফটক পেরোতেই প্রকৃতির সুবজ ঘেরা প্রশান্তির ছোঁয়া। পিচঢালাই সড়কের চারপাশ ঘিরে বাহারি ফুলের বাগান। দেশের বীর শহীদদের স্মরণেকালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্মৃতিস্তম্ভ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের নবীনগরে বিশ্ব দরবারে মুক্তিযুদ্ধের কালের সাক্ষী এই সৌধ। এর মধ্যে সৌধ প্রাঙ্গণকে ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। রং তুলি, আলোকসজ্জাসহ নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে পুরো স্মৃতিসৌধ। গত কয়েকদিন ঘুরে এই চিত্রের দেখা মেলে।


মূলত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে ঘিরে দেশের বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এত সব আয়োজন। রাতের আঁধার পেরিয়ে রক্তিম সূর্যদয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ লাখো মানুষের ঢল নামবে এই সৌধ প্রাঙ্গণে। ফুলের চাদরে ঢেকে যাবে কংক্রিটের শহীদ বেদী। শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিন্রম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করতে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে জাতি।


গত কয়েকদিন সৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, নিরাপত্তার জন্য সৌধের ভেতরে ও বাইরে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। কয়েক শ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিতসহ বাড়ানো হয়েছে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য প্রস্তুতি শেষ হয়েছে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত দলের মহড়া। শেষ হয়েছে লাইটিংসহ রং তুলির কাজ। মাসের শুরুতেই স্মৃতিসৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।


পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মো. ফজর আলী বলেন, বীর শহীদদের স্মরণে কাজ করাটা আনন্দটা বিষয়ের। শুধু চাকরি নয়। আমদের খুবই ভালো লাগে। গত ৩০ বছর ধরে আমি এখানে কাজ করছি।


গণপূর্ত বিভাগের (সাভার) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সকল ধরেনর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদেনের পর মন্ত্রী, সচিব, কূটনৈতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।


এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জমান বলেন, স্বাধীনতা দিবস ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় যে জনবসতি আছে তাদের নাগরিকত্ব ফরম দিয়েছি। নতুন কোনো লোকের এলাকায় প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ-টাওয়ার দিয়েছি। জাতীয় ও জেলা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। ইতিমধ্যে আমরা সৌধ এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছি।


এ ছাড়া স্মৃতসৌধের বাইরে ফুলের দোকানগুলোতে বেড়েছে কাজের ব্যস্ততা। দিবসটি ঘিরে বিভিন্ন সংগঠন অগ্রীম ফুলের তোড়ার তৈরি জন্য অর্ডার দিয়েছেন এসব দোকানে। আবার সৌধে বাইরের সড়কে দাঁড়িয়ে কয়েকজনকে জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে দেখা যায়।