বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সম্পদ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ঘোষিত প্রস্তাবিত (২০২২-২৩) বাজেটে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সঠিকভাবে কর প্রদান করা হলে এনবিআরসহ আর কেউ এসব সম্পদ বা অর্থের বিষয়ে প্রশ্ন তুলবে না বলে বাজেটে প্রস্তাব করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিদেশের স্থাবর সম্পত্তি দেশে না আনা হলে ১৫ শতাংশ ও অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আর দেশে পাঠানো নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এ জন্য আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনেরও প্রস্তাব করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরে আমাদের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে। আর্থিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অধিক বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী পন্থা অবলম্বন করতে হবে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য একদিকে আমাদের অধিক পরিমাণে রাজস্ব জোগান দিতে হবে, অন্যদিকে বেসরকারি খাতেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে হবে।
এ অবস্থায় বিদেশে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার মাধ্যমে বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান যুক্ত করারও প্রস্তাব দেন।